বিএনএ ডেস্ক: উজানের ঢলে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বেড়েই চলছে। অধিকাংশ নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে ও কিছু কিছু নদীর পানি বিপৎসীমায় অবস্থান করছে। পাশাপাশি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় বানভাসি মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। ডুবে গেছে রোপা আমন চারাসহ বিভিন্ন সবজির ক্ষেত। কয়েকটি এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, সুরমা, কুশিয়ারা ছাড়া দেশের প্রধান সব নদ-নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা আগামি ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকবে।
বর্তমানে যমুনার পানি ৮ সেন্টিমিটার, পদ্মার পানি ৪২ সেন্টিমিটার, দুধকুমার নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার ও গড়াই নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, পাবনা, কুষ্টিয়া, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী ও ফরিদপুর জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। এ সময়ে যমুনা নদী আরিজা পয়েন্টে এবং আত্রাই নদী বাঘাবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা আছে।
লালমনিরহাটের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি স্থিতিশীল রয়েছে। তবে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় ২৫টি গ্রামের ৭ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে রোপা আমন চারাসহ বিভিন্ন সবজির ক্ষেত। বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন।
গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তলিয়ে গেছে চরাঞ্চলের বাড়িঘর ও ফসলের মাঠ।
সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে যমুনার পানি ১৮ সেন্টিমিটার ও কাজীপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার বেড়েছে। এতে প্লাবিত হতে শুরু করেছে চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকা।
পদ্মার পানি বাড়ায় নাটোর ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও মানিকগঞ্জের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার হাজার পরিবার। মুন্সিগঞ্জের ভাগ্যকুলে পদ্মার পানি ১১ সেন্টিমিটার ও মাদারীপুরে সব নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বেশি বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে দুই ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে চারশতাধিক ট্রাক।
বিএনএনিউজ/আরকেসি