বিএনএ ডেস্ক: ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে এবার। ফলে নতুন করে চালের দাম তেমন বাড়েনি। গত বছর বাড়া দামের আশপাশেই স্থির ছিল। তবে গত দু-তিন দিনের ব্যবধানে মোটা চালের দাম কেজিতে ২ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এ মানের চালের ক্রেতা সাধারণত নিম্ন আয়ের মানুষ। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যও বলছে, এক মাসের ব্যবধানে মোটা চালের দাম বেড়েছে প্রায় ২ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁও কলোনি বাজার, তেজকুনিপাড়া ও কারওয়ান বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, মোটা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৪ টাকা দরে। অথচ তিন দিন আগেও এ চালের কেজি ছিল ৪৮ থেকে ৫২ টাকা। তবে মাঝারি ও চিকন চালের দাম মোটামুটি স্থির আছে। মাঝারি আকারের চাল ৫২ থেকে ৫৮ এবং চিকন চাল ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে আলোচনা ছাড়াই প্যাকেটজাত চিনির দাম কেজিতে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪০ টাকা নির্ধারণ করেছে কোনো কোনো কোম্পানি। বাজারে প্যাকেট চিনির কিছুটা সংকটও আছে। মাসখানেক আগে খোলা চিনির দর ১৩০ টাকা ছিল। কিন্তু এখন দাম বেড়ে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যদিও খোলা চিনির সরবরাহে কোনো ঘাটতি দেখা যায়নি।
সাধারণত কোরবানি ঈদের পর মসলার দাম খানিকটা হলেও কমে। কিন্তু এবার চিত্র ভিন্ন। কোরবানির প্রায় এক মাস পরও তেজ কমেনি মসলার। জিরার কেজি বিক্রি হচ্ছে হাজার টাকায়। গত বছর জিরার দাম ছিল ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকার মধ্যে। রসুনের দামও চড়া। গত এক মাসে কেজিতে ৪০ টাকার মতো বেড়ে আমদানি করা রসুন ২২০ থেকে ২৪০ এবং দেশি রসুন ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহ দুয়েক ধরে দর কিছুটা নিম্নমুখী থাকলেও এখনও আদার কেজি ৩০০ টাকার আশপাশে। তবে পেঁয়াজের দর কিছুটা কমেছে। দেশি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মাসখানেক ক্রেতাদের ভুগিয়েছে কাঁচামরিচ। তবে আমদানি অব্যাহত থাকায় দাম কমে এসেছে। তার পরও এখনও প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। তুলনামূলক সবজির বাজার চড়া দেখা গেছে। বেগুনের কেজি ৭০ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০ টাকা কমে করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। টমেটোর দাম অস্বাভাবিক বেশি। দেশি টমেটো ২৫০ থেকে ২৬০ এবং ভারতের টমেটো ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক। আগের মতোই চড়া দাম দেখা গেছে মাছের বাজারে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ/ হাসনাহেনা