বিএনএ, ঢাকা : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল আজ বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনটা কিন্তু হেলাফেলার জিনিস নয়। কাজেই আমরা মনে করি, নির্বাচনটা জনপ্রতিনিধিত্বমূলক এবং জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন হওয়া উচিত। এজন্য একটি অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রয়োজন, যেখানে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবে।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপে সিইসি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, নির্বাচনে সব দলকে আহ্বান করছি এবং করে যাবো। নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। আমরা যে দায়িত্ব নিয়েছি আইন ও সংবিধানের অধীনে, সেই দায়িত্ব অনুযায়ী আমাদের নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে। কোনও দল না আসলে আমরা বাধ্য করতে পারব না। তবে আমরা বারবার আপনাদের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছি।
সিইসি আরও বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা সামর্থ্য অনুযায়ী প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানোর চেষ্টা করবো। পেশীশক্তি যাতে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, এজন্য আপনাদের সহযোগিতা চাইবো। নির্বাচন কমিশন একা করবে না। জেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এমনকি সেনাবাহিনীরও অংশগ্রহণ প্রয়োজন হতে পারে। আমরা সেই অর্থেও কাজ করব। নির্বাচন সংক্রান্ত আইনে আমাদের বেশ খানিকটা ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আমরা সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করে যেন সম্ভাব্য সহিংসতা বা পেশি শক্তির প্রয়োগ হ্রাস করতে পারি।’
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমের ব্যবহার নিয়ে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ইভিএম নিয়ে যে সংশয়, আস্থাহীনতা আছে, তা নিয়ে অবহিত আছি। আমরা অন্ধভাবে ইভিএম নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি। তবে এর যে কিছু ভালো দিক আছে, মন্দ দিক আছে- সেটাকে আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না। সেই সম্ভাব্যটা কতটা বস্তুনিষ্ঠ তা পরীক্ষা করে দেখার চেষ্টা করছি।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।