বিএনএ, গাইবান্ধা: টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে গাইবান্ধায় সব নদ-নদীর পানি বেড়েই চলেছে। তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে শুক্রবার (২১ জুন) বিকেল ৩টায় বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা যায়। ফলে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, কাপাসিয়া ও হরিপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করছে।
‘গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার ব্রহ্মপুত্রের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে ১৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, ঘাঘট নদীর পানি নিউ ব্রিজ পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার বেড়ে ১২৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জের চকরহিমপুর পয়েন্টে ৬১ সেন্টিমিটার বেড়ে ১৭৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’ গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে, পানি বৃদ্ধির কারণে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর, কাপাশিয়া, চন্ডিপুর ও তারাপুর ইউনিয়ন, সদর উপজেলার মোল্লারচর, গিদারি, ঘাগোয়া, কামারজানি ও ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ি, ফুলছড়ি ও ফজলুপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট প্লাবিত হচ্ছে।
অপরদিকে, নদ-নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর, কাপাশিয়া, চন্ডিপুর ও তারাপুর ইউনিয়ন, ফুলছড়ির ফজলুপুর ইউনিয়ন ও সদর উপজেলার মোল্লারচর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।
গাইবান্ধা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে স্বল্পমেয়াদি বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। তবে সার্বিক পরিস্থিতির ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখা হচ্ছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ আল হাসান জানান, নদী বেষ্টিত যেসব ইউনিয়ন রয়েছে, সেসব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ ইউপি সদস্যদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। নদীর পাড় সংলগ্ন যেসব ওয়ার্ড রয়েছে সেখানে গ্রুপ ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া ওসব এলাকায় শুকনা খাবার বিতরণের জন্য প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রাথমিক সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
বিএনএ/এমএফ/এইচমুন্নী