25 C
আবহাওয়া
৩:৩৪ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবির ঘটনায় ১১২ পাকিস্তানীর সলিল সমাধি!

ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবির ঘটনায় ১১২ পাকিস্তানীর সলিল সমাধি!

ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবির ঘটনায় উদ্ধার পা্ওয়া পাকিস্তানী

ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবির ঘটনায় ১১২জন পাকিস্তানীর সলিল সমাধি ঘটেছে বলে দাবি করা হলেও প্রকৃত সংখ্যা তার দ্বিগুনেরও বেশি বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মিডিয়া সমূহ।  কেবল মাত্র ১২জন পাকিস্তানীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তার মধ্যে কোন নারী ও শিশু নেই। খবর আল জাজিরা।

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (IOM) এবং জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (UNHCR) বলেছে, গ্রীক শহর পাইলোস থেকে

১৪ জুন প্রায় ৪৭ নটিক্যাল মাইল (৮৭ কিলোমিটার)দূরে আয়নিয়ান সাগরে ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে ৪০০ থেকে ৭৫০ জন লোক ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এখন পর্যন্ত, মাত্র ১০৪ জনকে জীবিত পাওয়া গেছে। ডুবে যাওয়া নৌকায় কোন নারী বা শিশুদের পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।

পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) এর মতে, পাকিস্তান থেকে অন্তত ১২৪ জনকে এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা হয়েছে যারা নৌকাটিতে ছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র ১২ জন বেঁচে গেছেন বলে জানা গেছে। মিডিয়া রিপোর্টে অবশ্য নৌকায় পাকিস্তানিদের সংখ্যা প্রায় ৩০০ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

নৌকার আরোহীরা সবাই মিশর,আফগানিস্তান, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে জীবন জীবিকার আশায় সমুদ্র পথে গ্রীস যাচ্ছিলেন।

গ্রীসের ট্র্যাজেডিটি ফেব্রুয়ারির পর রেকর্ড করা তৃতীয় বড় ঘটনা যেখানে পাকিস্তান থেকে অভিবাসীরা সমুদ্রে প্রাণ হারিয়েছে।গত ফেব্রুয়ারিতে, দক্ষিণ ইতালীয় অঞ্চল ক্যালাব্রিয়ার কাছে একটি নৌকা ডুবে মারা যাওয়া ৬০ জনের মধ্যে ২০ জনেরও বেশি পাকিস্তানি ছিল। দুই মাস পর, ভূমধ্যসাগরে শরণার্থীদের বহনকারী দুটি নৌকা ডুবে যাওয়ার পর লিবিয়ার উপকূলে ভেসে যাওয়া ৫৭টি লাশের মধ্যেও পাকিস্তানিরা ছিলেন।

কোটলি জেলার ২৪ বছর বয়সী আইনের ছাত্র আনিস মজিদ বলেছেন যে গত সপ্তাহে যে নৌকাটি ডুবেছে তার চাচাতো ভাই আওয়াইস আসিফও ছিলেন তাদের মধ্যে একজন।

শতাধিক লোকের প্রাণহানীতে শোক প্রকাশে গত সোমবার পাকিস্তানে জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়।

এফআইএ-এর একজন সিনিয়র কর্মকর্তা রানা আবদুল জব্বার বলেন, নৌকাডুবির ঘটনায় মারা যাওয়া ৯০ শতাংশ মানুষ প্রথমে লিবিয়ায় বৈধভাবে ভ্রমণ করেন। তারা করাচি থেকে দুবাই হয়ে লিবিয়া যান।  কর্তৃপক্ষ 26 জন কথিত মানব পাচারকারীকে আটক করেছে যারা ডুবে যাওয়া নৌকায় মানুষ পাচারের সাথে জড়িত।

২০২২ সালে, এফআইএ ১৯হাজার জনকে স্থল বা আকাশ পথে পাকিস্তান ত্যাগ করতে বাধা দিয়েছে উল্লেখ করে জব্বার বলেন, এই বছর এ পর্যন্ত ১০হাজার জনকে আটক করা হয়েছে।

এফআইএ-এর কর্মকর্তা বলেন, কাগজপত্র না থাকার কারণে ২০২২ সালে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে ৩৪ হাজারেরও বেশি পাকিস্তানীকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। তিনি বলেন,একসময় বেশিরভাগ পাকিস্তানি  স্থলপথে ইরান, তুরস্ক এবং গ্রিসের মধ্য দিয়ে ইউরোপে যাতায়াত করতো।

এফআইএ-এর কর্মকর্তা মি. জব্বার আরও বলেন,  “যেহেতু পাকিস্তান সহ এই দেশগুলির মধ্যে অনেক রাষ্ট্র কঠোর সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ নীতি মেনে চলছে, তাই অভিবাসীরা এখন সমুদ্র পথে ইউরোপ যেতে শুরু করেছে, যেখানে তারা লিবিয়ায় পৌঁছানোর চেষ্টা করে এবং তারপরে নৌকার মাধ্যমে ইউরোপে যায়,”।

বিএনএনিউজ২৪,এসজিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ