বিএনএ, কক্সবাজার : কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে একদিকে বাজার জমতে শুরু করেছে অন্যদিকে ব্যস্ত সময় পার করছেন কক্সবাজারের খামারিরা। বিভিন্ন সাইজের আকর্ষণীয় গবাদি পশু বাজারে তুলতে খামারীরা নানা কৌশল নিচ্ছেন।
অনেকে আবার গরু কিনলে ছাগল ফ্রি দেয়ার জন্য অফার ছুড়ে দিয়েছেন অনেক খামারী।কক্সবাজার সদরের একটি ডেইরি ফার্মের মালিক আলী আহমদ বলেন, আমার ৬৫ টি গরু ৬ টি মহিষ ও শতাধিক ছাগল কোরবানি যোগ্য আছে।এর মধ্যে ১২টি বড় সাইজের গরু আছে। একেকটি গরুর ওজন ২০ থেকে ২৫ মণ। এসব গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে প্রতিটি ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা। শুধু তাই নয়, এসব গরুর সাথে ফ্রিতে দেয়া হচ্ছে খাসি বা ছাগল।
জেলায় ছোট বড় শতাধিক ডেইরি ফার্ম ও ঘরোয়া গরু ছাগল,মহিষ ও ভেড়া মিলে প্রায় দেড় লক্ষাধিক কোরবানি যোগ্য পশু মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর। জেলার ৯ টি উপজেলায় ১৩১ টি কোরবানি পশুর হাট বসছে।যদিওবা ৪৮ টি স্থায়ী আর ৮৩ টি অস্থায়ী হাট।কোরবান উপলক্ষে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
কোরবানি হাটে সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মাঠে থাকবে পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব।থাকবে একাধিক মেডিকেল টীম।সদর উপজেলায় ১৯ টি রামুতে ২২ টি, চকরিয়ায় ২৫ টি,পেকুয়ায় ১১ টি উখিয়ায় ১২ টি, টেকনাফে ১০ টি,মহেশখালীতে ১৫টি কুতুবদিয়ায় ১০ টি, ও ঈদগাওতে ৭ টি বসছে কোরবানির হাট।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে কক্সবাজারে কোরবানিযোগ্য ১ লাখ ৫১ হাজার ৬২২টি গবাদিপশু রয়েছে। এই পশুগুলোর মধ্যে গরু ১ লাখ ৪৫২টি, মহিষ ৫ হাজার ৯৪টি, ছাগল ৩৫ হাজার ৪০৭টি, ভেড়া ১০ হাজার ৬৬৯।
এদিকে জেলায় স্থায়ী হাটের সংখ্যা ৪ ৮ও অস্থায়ী ৮৩টি। মোট ১৩১ টি হাট এবার প্রস্তুত রয়েছে। আর মেডিকেল টিম রয়েছে ২৭টি।
ইতোমধ্যেই জেলার বিভিন্ন হাটে কোরবানিযোগ্য পশু বিক্রি করার জন্য তোলা হচ্ছে। দামে মিলে গেলে বিক্রিও করছেন অনেকে। এছাড়াও হাটে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ব্যবসায়ীরা কোরবানিযোগ্য পশু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
অপরদিকে গবাদিপশু মোটাতাজাকরণে ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবহার রোধে কক্সবাজার জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
টেকনাফের হ্নীলা এগ্রো ফার্মের মালিক তারেক মাহমুদ রনি বলেন, এ বছর প্রচুর পশু খামারে আছে। ছোট-বড় ও মাঝারী ধরনের পশু পাওয়া যাবে।
কক্সবাজারের বৃহৎ হাট খরুলিয়া বাজারে কথা হয় জুহুর আলম নামে এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি জানান, এ বছর তুলনামূলক দাম একটু সস্তা মনে হচ্ছে। আমি দুটি গরু কিনেছি ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায়।
জেলা প্রাণিসম্পদ ও ভেটেরিনারি অফিসার ডা. মোহাম্মদ সাহাবউদ্দিন বলেন, কক্সবাজারে গত বছরের চেয়ে চলতি বছর অনেক বেশি গবাদিপশু রয়েছে। যা চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলাগুলোতেও পাঠানো সম্ভব হবে।
বিএনএনিউজ/ এইচ এম ফরিদুল আলম শাহীন/এইচ.এম।