বিএনএ, কক্সবাজার: কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাচনে হামলা, অবরোধ এবং প্রাণহানির মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ভোটগ্রহণ। সকাল থেকে ছোট ছোট বিচ্ছিন্ন ঘটনা দেখা দিলেও ভোটগ্রহণ শেষ হতেই খবর আসে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে টেলিফোন প্রতীকের এক কর্মী সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে।
টেলিফোন মার্কার সমর্থক দেলোয়ার নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে রাখে মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থকরা এ খবরে তাকে বাঁচাতে গিয়ে ছুরিকাঘাতের শিকার হন সফুর আলম নামে এ যুবক।
মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ শেষে ঈদগাঁওর পশ্চিম পোকখালী ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি পশ্চিম পোকখালী ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মামমোরা পাড়া এলাকার নুর উদ্দিনের ছেলে।
দেলোয়ার জানান, তিনি একটি বাড়িতে খাবার খেতে গেলে সেখানে তাকে মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মীরা সমর্থকরা আটকে রাখে। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধারে ছুটে গেলে সেখানে সফুর আলমকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে আহতকে উদ্ধার করে ৪ টা ২০ মিনিটের সময় হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক সাজ্জাদুর রহমান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঈদগাঁও থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ষষ্ঠ ধাপের দ্বিতীয় দফায় কক্সবাজারের চকরিয়া, পেকুয়া ও ঈদগাঁও এই ৩ উপজেলার ভোট ইভিএম পদ্ধতিতে শেষ হয়েছে। এখন চলছে কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল ঘোষণা। চকরিয়া, পেকুয়ার সার্বিক পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ হলেও ঈদগাঁওতে দিনব্যাপী বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে দুপুরে একটি কেন্দ্রে প্রবেশের চেষ্টাকালে মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী সামশুল আলমকে মারধর করা হয়েছে।
তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্টে মৌলভী ইয়াছিন হাবিব জানিয়েছেন, মোটর সাইকেল প্রতীকের সমর্থকরা এ ঘটনা ঘটে। একই সময় কেন্দ্রের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করলে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী আবু তালেবকে মারধরের অভিযোগ করেন প্রার্থী নিজেই।
দুপুরে আড়াই টার দিকে আনারস প্রতীকের প্রার্থী সেলিম আকবার কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়ে সড়কে অবরোধ করেন। এসময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা লাঠিচার্জ করে তাকে সরিয়ে দেন।
বিএনএনিউজ/ ফরিদুল আলম শাহীন/ বিএম/ এইচমুন্নী