বিএনএ লাইফস্টাইল ডেস্ক: রসালো ফল আঙুর। যা পুষ্টিগুণে ভরা। অন্যদিকে বহু রান্নায় ব্যবহৃত হয় কিসমিস। বিশেষ করে ডেজার্ট তৈরিতে দেওয়া হয় কিসমিস। পুষ্টির চাহিদা মেটাতে অনেকেই কিসমিস খান। অনেকেই জানতে চান কোনটা বেশি পুষ্টিকর, আঙুর না কিসমিস?
আঙুর কাঁচা। অন্যদিকে কিসমিস শুকনা। এই দুইটি পার্থক্য ছাড়াও পুষ্টিগুণেও পার্থক্য রয়েছে। আঙুর রোদে বা হাওয়ায় শুকিয়ে বানানো হয় কিসমিস। আর সেই প্রক্রিয়াতেই হেরফের হয়ে যায় দুইয়ের পুষ্টিগুণ। শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে আঙুর অথবা কিসমিস খাওয়া প্রয়োজন।
আঙুর শুকিয়ে তৈরি করা হয় কিসমিস। তাই এতে শর্করা অনেক ঘন হয়ে যায়। ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে কিসমিস অনেক বেশি ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে পারে। পরিবর্তে ডায়াবেটিস রোগীরা আঙুর খেতে পারেন। আঙুরে তুলনায় সমস্যা কম। তবে ডায়াবেটিস থাকলে আঙুর খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া জরুরি।
চিনির মতো কিমমিসে ক্যালোরির পরিমাণও অনেকটা বেশি। কিসমিসের শাঁসের ঘনত্ব বেশি বলে ক্যালোরির পরিমাণও অনেকটা। কিসমিসের তুলনায় আঙুরে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম। প্রায় নেই বললেই চলে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিসমিসের চেয়ে আঙুর অনেক বেশি উপকারি। তবে কিমমিসে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পরিমাণ অনেক বেশি। শরীরের দূষিত পদার্থ বের করে দিতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দারুণ কার্য়করী।
পুষ্টিবিজ্ঞানীরা বলছেন, আঙুর বেশি উপকারি কারণ এতে পানির পরিমাণ অনেক বেশি। কিসমিসে পানি নেই বললেই চলে। এছাড়াও আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, ই, সি, ভিটামিন বি১, বি২-এর মতো উপকারি পুষ্টিগুণ। কিসমিস শরীরের বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদানের ঘাটতি তৈরি করে।
বিএনএনিউজ২৪/এমএইচ