রায়হান সিকদার,লোহাগাড়া(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ শাহিনা আকতার।তার স্বামীর নাম মৃত মুহাম্মদ আলী। সে স্বামীহারা বিধবা। তার ঘরে রয়েছে ৩ কন্যা সন্তান। তার বাড়ী উপজেলার আধুনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ হরিণা মনছুর আলী সিকদার পাড়ায়। ৩ কন্যা সন্তানকে নিয়ে করুণ অবস্হা। যেন নুন আনতে পানতা পুরায়। বিগত বছরখানিক পুর্বে তার স্বামী মারা যান। তার সংসারে কষ্ঠের সীমা নেই। তার এহেন দুর্দশা নিয়ে গত মাসখানিক পুর্বে একটি প্রতিবেদন হয় অনলাইন পোর্টাল ও পত্রিকায়। বিষয়টি লোহাগাড়া থানার ওসি জাকের হোসাইন মাহমুদের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি তখন তার বাড়ীতে গিয়ে নগদ টাকা ও বিধবা শাহিনের কন্যা সন্তানের পড়ালেখার সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা সামগ্রী প্রদান করেন। এখন চলছে লকডাউন। সরকারী নির্দেশনা মেনে মানুষ এখন ঘরে অবস্হান করছে। লকডাউনে ভাল নেই বিধবা শাহিন আকতারের পরিবার।
মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারলে গর্ববোধ লাগে
২১ এপ্রিল সকালে লোহাগাড়া থানা পুলিশের পক্ষ থেকে ইফতার ও ত্রাণ সামগ্রী দিলেন ওসি জাকের হোসাইন মাহমুদ। এসময় ওসি জানান, বাংলাদেশ পুলিশের দৃশ্য এখন পাল্টে গেছে। আমরা লোহাগাড়া থানা পুলিশ মানুষের দৌড়গোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছি। আইন শৃঙ্খলার পাশাপাশি মানবতার কাজেও আমরা সম্পৃক্ততা রয়েছি। পুলিশি সেবার বাইরেও মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারলে নিজেকে গর্ববোধ মনে করি।
বিধবা শাহিন আকতার যা বললেন
বিধবা শাহিন আকতার জানান, আসলে ওসি স্যার অনেক ভাল মানুষ। আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে তিন কন্যা সন্তানকে নিয়ে অতি কষ্টে দিনযাপন করছিলাম। এক সাংবাদিক ভাইয়ের মাধ্যমে আমার বিষয়ে সংবাদ প্রচার হওয়ার পর ওসি স্যার আমার বাড়ীতে ছুটে আসেন। তিনি নগদ টাকা ও শিক্ষা সামগ্রী প্রদান করেন। আজকেও ওসি স্যার আমাকে ত্রাণ ও ইফতার সামগ্রী দিয়েছেন। আমি অত্যন্ত খুশী। আল্লাহ স্যারকে নেক হায়াত ও সার্বিক নিরাপত্তা দান করুন।আমিন।
লোহাগাড়া থানার ওসি জাকের হোসাইন মাহমুদ
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে লোহাগাড়া থানার ওসি জাকের হোসাইন মাহমুদ গেল বারের লকডাউনের শুরুতে গৃহবন্দি, ঘরবন্দি ও কর্মহীন মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। বিশেষ করে ওসির ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে অসহায় মানুষের ঘরে ত্রাণ ও আর্থিক ভাবে সার্বিক সহযোগীতা প্রদান করেন। এতে তিনি বেশ প্রশংসীত হয়েছেন।
বিএনএনিউজ২৪/এসজিএন