বিএনএ, চট্টগ্রাম : ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়ন যু্বলীগ নেতাকে মানসিক নির্যাতন ও হয়রানি করে আত্মহত্যার প্ররোচনা অভিযোগে ২ আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। সোমবার (২০ মার্চ) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা ও ঢাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-৭ এসব তথ্যা জানায়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ফেনীর সোনাগাজীর চরখোয়াচ গ্রামের মৃত সৈয়দ আহমেদের ছেলে আলী মর্তুজা (৪৮) এবং একই এলাকার চর চান্দিয়া গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে মো. করিমুল হক।
বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, ভুক্তভোগী মকছুদ আলম বিপ্লব (৩৭) ফেনীর সোনাগাজী এলাকায় বসবাসকালে আসামী আলী মর্তুজা এবং মোঃ করিমুল হকের সাথে দীর্ঘদিন বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধ চলছিল। এর জেরে ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানি করলে বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে অবহিত করেন। আসামীরা ভুক্তভোগীকে হয়রানি অব্যাহত রাখে। দীর্ঘদিন ধরে হয়রানিমূলক মামলায় আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিতে দিতে ভুক্তভোগী আর্থিক এবং মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। এ হয়রানি সহ্য করতে না পেরে হতাশাগ্রস্থ হয়ে গত ৮ মার্চ ২০২৩ ইং ভুক্তভোগী তার বসতঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। মানসিক নির্যাতন ও হয়রানি করে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার দায়ে ভুক্তভোগীর স্ত্রী বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৭/৮জনকে আসামী করে সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের আইডি থেকে ভুক্তভোগী নিজের ভিডিওতে ওই আসামীদের হয়রানি করার বিষয়টি প্রকাশ করেছিল। মূলতঃ মামলা মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানি ও মানসিক নির্যাতনে হতাশাগ্রস্থ হয়ে ভিকটিম আত্মহত্যার মত জঘন্যতম পথ বেছে নেয় বলে র্যাব জানায়।
র্যাব আরও জানায়, গত ২০ মার্চ সন্ধ্যা ৭টায় অভিযান পরিচালনা করে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ থানার পদুয়ার বাজার এলাকা থেকে এজাহারনামীয় ৩নং আসামী আলী মর্তুজাকে (৪৮) র্যাব-৭ গ্রেফতার করে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজধানী ঢাকার হাইকোর্ট এলাকা থেকে র্যাব-৩ মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাত সাড়ে ১২ টায় ৪নং আসামী মোঃ করিমুল হককে (৩২) গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা ঘটনার সাথে পরোক্ষভাবে জড়িত এবং ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে বলে স্বীকার করে।
উল্লেখ্য, সিডিএমএস পর্যালোচনা করে গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ করিমুল হক (৩২) এর বিরুদ্ধে ফেনী জেলার সোনাগাজী থানায় অস্ত্র, ডাকাতি, ছিনতাই এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ১০টি এবং কক্সবাজারের পেকুয়া থানায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ১টিসহ মোট ১১ টি মামলা পাওয়া যায়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিএনএনিউজ/ বিএম