22 C
আবহাওয়া
১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » কুবির পাহাড়ে আগুন, ঝুকিঁতে জীববৈচিত্র্য

কুবির পাহাড়ে আগুন, ঝুকিঁতে জীববৈচিত্র্য

কুবির পাহাড়ে আগুন, ঝুকিঁতে জীববৈচিত্র্য

বিএনএ, কুবি : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ পাহাড়ে কয়দিন যেতে না যেতেই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। মার্চ মাসেই ২ বার আগুন লেগেছে কুবির পাহাড়ে। পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় ঝুকিঁতে পড়েছে জীববৈচিত্র্য। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদাসীনতায় পাহাড়ে আগুন লাগার ঘটনা থামছেনা বলে মনে করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

খোজঁ নিয়ে জানা যায়, গত শনিবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় মসজিদের পশ্চিম পাশের পাহাড় ও কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের মধ্যবর্তী লালন চত্বরের প্রায় অর্ধেকটাই আগুনে পুড়ে গেছে। কোথাও বা আগুন জ্বলছে, কোথাও আগুন নিভে কালো বর্ণ ধারণ করেছে। বেশ কিছু গাছ, পাখিকে পাহাড়ি জঙ্গলে আশ্রয় হারিয়ে ছোটাছুটি করতে দেখা গেছে।

কুবি পাহাড়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর আগে চলতি বছরের ২ মার্চ দুপুর ১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার পিছনের অংশের পাহাড়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বিজ্ঞান অনুষদ ও ক্যাফেটেরিয়ার মাঝামাঝি পাহাড়ে আগুন লাগার ফলে পুড়ে গেছে গাছ-পালা। এসময় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে পাহাড়ের বিভিন্ন অংশে।

গেল বছরের ১৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পাশের একটি পাহাড়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পাহাড়ের উপরের অংশ আগুনে পুড়ে গেছে। আগুন ছড়িয়ে পড়েছে পাহাড়ের বিভিন্ন অংশে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা নিয়ন্ত্রণে আনে। বহিরাগত মাদকসেবীরা আগুন লাগাতে পারে বলে অভিযোগ করেছেন প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা।

একই বছরের ২৮ মার্চ বেলা ১১টায় আবারো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পশ্চিম পাশের পাহাড়ে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বঙ্গবন্ধু হলের পশ্চিম পাশের পাহাড়ে আগুন লাগলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন ও আশেপাশের কিছু লোক এগিয়ে এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।

২০২০ সালের ১৪ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পাহাড়ে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। তখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে পরিচ্ছান্নতার নামে আগুন লাগানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। তবে এই আগুন লাগার ঘটনা থেমে নেই, চলতে থাকে অবিরতভাবে।

এবিষয়ে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মুজনবী বলেন, ‘ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ পাহাড়গুলো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতীক। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর এটাই প্রথম আঘাত নয়, বারবার এরকম অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটছে এবং এক্ষেত্রে প্রশাসনের উল্লেখযোগ্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায় না, যা খুবই দুঃখজনক। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলোর প্রতিরোধ করার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হওয়া উচিত।’

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন বলেন, ‘আসলে আমাদের নিরাপত্তা কর্মী সংকট, তাই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে। আমরা উপাচার্য স্যারের সাথে কথা বলে নিরাপত্তা কর্মী বাড়ানোর চেষ্টা করবো।’

পাহাড়ে অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটিরা কি করে সে বিষয়টি দেখব আমি। হয়ত তারা দায়িত্বের প্রতি অবহেলা করে। আমাদের সিকিউরিটি গার্ড কয়জন আছে, আর সংকট আছে কিনা সে বিষয়ে আমি খোঁজ নিব।’

বিএনএ/ হাবিবুর রহমান, ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ