বিএনএ, কক্সবাজার: কক্সবাজারের চকরিয়ায় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে চিংড়িঘেরের এক কিশোর শ্রমিককে অপহরণের ৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া ওই শ্রমিকের নাম মো. আরিফ (১৩)। সে বিএমচর ইউনিয়নের চৈনম্যারঘোনা এলাকার মো. ইয়াছিনের ছেলে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে চিংড়ি জোন রামপুর মৌজার ৩ নম্বর হোল্ডিং ২৫ নম্বর প্লট থেকে অপহরণ হয় সে।
জানা যায়, পেকুয়া উপজেলার শিলখালী এলাকার বাসিন্দা জনৈক শাকেরা বেগমের মালিকানাধীন চিংড়িঘের বর্গা নেয় সাহারবিলের বাসিন্দা নুরুল হক । ওই চিংড়িঘেরে মহিষ চরানোর জন্য শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় মো. আরিফকে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বদরখালী এলাকার ১০-১১ জন দুর্বৃত্ত মহিষ চরানোর সময় অতর্কিতভাবে এসে আক্রমণ করে আরিফের উপর। এ সময় তাদের হাতে থাকা লম্বা বন্দুকের বাট দিয়ে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। পরে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে একটি ইঞ্জিনবোটে তুলে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। বিষয়টি জানার পর চিংড়িঘের চাষি নুরুল হক জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ অভিযান শুরু করে। বিকাল ৪টার দিকে বদরখালী বাজারের একটি নির্জন এলাকা থেকে পুলিশ স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ভিকটিম আরিফকে উদ্ধার করে। তবে অপহরণকারীরা পুলিশ আসার খবর পেয়ে পালিয়ে যায়। উদ্ধারের পর আহত আরিফকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় মৎস্যঘের চাষি নুরুল হক বাদী হয়ে বদরখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আমিরখালী পাড়ার আবদুল রমিজ, আবদুর রহিম, আবদুল হক, আবদুল করিম, আবদুল মজিদের নাম উল্লেখ করে আরো ৫-৬ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে চকরিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
তিনি বলেন, অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে চিংড়িঘের জবরদখলের উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসীরা জড়ো হওয়ার বিষয়টিকে দেখে ফেলায় শ্রমিক আরিফকে অপহরণ করা হয়েছে। এদিকে শ্রমিক উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি এজাহার দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিএনএনিউজ/নাবিদ/এইচ.এম/ হাসনা