সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মাদার্শা বাবুনগর মাদরাসার ৬ষ্ঠ ইসলামী মহাসম্মেলন শনিবার(২১ জানুয়ারি) রাতে স্থানীয় বাবুনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আখেরী মুনাজাতের মধ্যে শেষ হয়। ইসলামী মহাসম্মেলনের উদ্বোধন করেন মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া- লোহাগাড়া) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) এর বোর্ড ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আল্লামা প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মাদ নেজামুদ্দিন নদভী।
মহাসম্মেলন মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী চট্টগ্রাম এর মহাপরিচালক আল্লামা ইয়াহিয়া, আল জামেয়া আল ইসলামিয়ার মহাপরিচালক আল্লামা ওবাইদুল্লাহ হামজা, কুয়াকাটার খতিব আল্লামা হাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী, চট্টগ্রাম ওমরগনি এমইএস কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. আ ফ ম খালিদ হোসাইন, আল্লামা মুফতি রেজাউল করিম আবরার, মুফতি হাবিবুল ওয়াহেদ, মাওলানা হোসাইন আল মাহমুদ, মাওলানা হেলাল উদ্দিন, মাওলানা আবদুল্লাহ আল মারুফ প্রমুখ। সম্মানিত অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড ট্রাস্টিজের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী দীন মোহাম্মদ প্রমুখ।
মহাসম্মেলনের বিভিন্ন অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ আলেম, লোহাগাড়া পদুয়া হেমায়াতুল উলুম মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা সরওয়ার কামাল আজিজি, জামিয়া জিরি পটিয়ার মহাপরিচালক হাফেজ মাওলানা খোবাইব বিন তৈয়ব, সাতকানিয়া ছমদর পাড়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আবুল হাছন, আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল আলা মুহাম্মদ হোছামুদ্দিন।
জাতির প্রতি দায়বদ্ধতা ও ভালোবাসার শিক্ষা দেয়া আলেমদের অন্যতম জিম্মাদারী
বিশাল মুসল্লীর উপস্থিতিতে মহাসম্মেলনে বক্তাগণ বলেন, নবীদের উত্তরসূরি হিসেবে কুরআন- সুন্নাহর আলোকে জাতিকে নির্দেশনা দেয়া আলেম সমাজের দায়িত্ব ও কর্তব্য। কল্যাণের প্রতি আহ্বান জানানো ও অকল্যাণের পরিণতি সম্পর্কে সজাগ করতে আলেমদের স্বয়ং আল্লাহ ও মহানবী (সা.) নির্দেশ দিয়েছেন। মানুষের ঈমান-আকিদার হেফাজত করা, মানুষকে পরকালমুখী করা, প্রচলিত শিরক-বিদআত ও কুসংস্কারসমূহ রদ করা এবং শরিয়তবিরোধী সব কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ভূমিকা পালনের শিক্ষার পাশাপাশি দেশপ্রেম এবং জাতির প্রতি দায়বদ্ধতা ও ভালোবাসার শিক্ষা দেয়া আলেমদের অন্যতম জিম্মাদারী। তাই কোনো অবস্থাতেই আলেম সমাজের পক্ষে এ দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।
মুসলমানদের মধ্যে শত্রুতা ও বিভাজনের প্রবণতা পরিত্যাগ করতে হবে
তাঁরা বলেন, ইসলামী চিন্তাধারার অনুসারীদের মধ্যে বুদ্ধিবৃত্তিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারিত করতে হবে। একে অন্যকে অভিযুক্ত করার প্রবণতা পরিহার করে মতপার্থক্যের যে সব বিষয় রয়েছে সেগুলোকে সংলাপের মধ্য দিয়ে নিষ্পত্তি ও সংশোধন করা গেলে মুসলিম উম্মাহকে কার্যকর ঐক্যবদ্ধ ও স্বাতন্ত্র্যমণ্ডিত করে তোলা সম্ভব। বক্তাগণ বলেন, উম্মাহর ক্রান্তিলগ্নে সব মুসলিমকে একত্রিত করার দায়বদ্ধতাকে বিশেষভাবে উপলব্ধি করতে হবে। সংযমের মাধ্যমে মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও সাদৃশ্যের বন্ধনকে জোরদার করতে হবে এবং পরিত্যাগ করতে হবে শত্রুতা ও বিভাজনের প্রবণতা। একই সাথে চরমপন্থা, সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদের সকল রূপ প্রত্যাখ্যান করতে হবে এবং অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের সাথেও মুসলমানদের সর্বোত্তম পদ্ধতিতে সহযোগিতা করতে হবে।
বিএনএনিউজ২৪, এসএমএন কে, এসজিএন