বিএনএ, নেত্রকোনা : লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আবাদ হওয়ায় শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলনের আশা করছেন নেত্রকোনা জেলার কৃষকরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) সূত্র জানায়, এ বছর জেলার দশটি উপজেলায় শীতকালীন সবজি চাষে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির আওতায় ৬ হাজার ৮০০ হেক্টর জমি থেকে মোট ১ লাখ ৭০ হাজার টন শীতকালীন সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু কৃষকরা ইতোমধ্যে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৭ হাজার ২০৮ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন।
এদিকে কিছু কৃষক ভোক্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে কৃষিতে বৈচিত্র্য আনয়নের চেষ্টা করছেন। এ লক্ষ্যে জেলার বারহাট্টায় ডাব বেগুন (নারকেল আকৃতির), রঙিন ফুলকপি ইত্যাদির চাষ হচ্ছে। এই উপজেলার শালনগর গ্রামের কৃষক জামাল মিয়া ২০০ ডেসিমাল জমিতে হলুদ রঙের ফুল কপি চাষ করেছেন।
জামাল বলেন, ভিন্ন রঙের হওয়ায় সহজেই ক্রেতাদের নজর কেড়েছে এই ফুলকপি। দামও পাওয়া যাচ্ছে।
কৃষিবিদ রকিবুল হাসান বলেন, ‘ডাব’ বারহাট্টার নিজস্ব ব্র্যান্ড-বেগুন। বিভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগ ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে বেগুনের এই আকৃতি দেওয়া সম্ভব হয়েছে। বাজারে এই বেগুনের দামও অন্য বেগুনের তুলনায় বেশী।
নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কৃষিবিদ মো. শাহজাহান কবির বলেন, জেলার কৃষি জমি সবজি চাষের উপযোগী এবং কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে সহজেই বেশি নগদ অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
তিনি বলেন, কৃষকরা শীতকালীন সবজি যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, শসা, মিষ্টি করলা, বোতল করলা, করলা, বেগুন, টমেটো এবং আমড়া চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
নেত্রকোনার উপ-পরিচালক (ডিডি) মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, যে কৃষি কর্মকর্তারা বিসিআইসি ও বিএডিসি সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সংস্থার মাধ্যমে তাদের দোরগোড়ায় ন্যায্য মূল্যে উন্নত মানের বীজ, সার এবং অন্যান্য কৃষি উপকরণের যথাযথ সরবরাহ নিশ্চিত করে কৃষকদের অনুপ্রাণিত করেছেন। এছাড়া জেলার ৮ হাজার ৬০০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে কৃষি প্রণোদনা হিসেবে সরকার প্রায় ৮ লাখ ৬০ হাজার টাকার সবজির বীজ বিতরণ করেছে। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং ফসল বিশেষজ্ঞরা উৎপাদন খরচ কমাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সবজি চাষের আধুনিক পদ্ধতি সম্পর্কে কৃষকদের পরামর্শ দান করে চলেছেন।
বিএনএ/ ফেরদৌস আহমদ বাবুল, ওজি