স্পোর্টস ডেস্ক: প্রথম ম্যাচে কোনও রান না করেই ফিরেছিলেন। তার ফর্ম নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। লম্বা সময় রানখরায় থাকা সেই সৌম্যই পথ দেখালেন বাংলাদেশকে। স্রোতের বিপরীতে একা লড়াই করে নেলসনে তুলে নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। শতকে যেতে তার লেগেছে ১১৫ বল। ২০১৮ সালের পর ওয়ানডেতে এটাই তার প্রথম তিন অঙ্ক ছোঁয়া ইনিংস। সেই হিসেবে আরেকটি সেঞ্চুরি পেতে সৌম্যকে অপেক্ষা করতে হয়েছে পাঁচটি বছর।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের চলমান ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সৌম্য সরকারের দুর্দান্ত ১৬৯ রানে ভর করে কিউইদের বিপক্ষে ২৯১ রানের লড়াকু সংগ্রহ করে নাজমুল হাসান শান্তর দল।
নেলসনের সাক্সটন ওভালে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠায় নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথাম। সিদ্ধান্তটা কাজে আসে খানিক পরেই। দলীয় ১১ রানে বিজয়ের (২) উইকেট দিয়ে শুভ সূচনা করে কিউইরা। অ্যাডাম মিলনের বলে স্লিপে ক্যাচ দেন বিজয়।
বড় স্কোর করা হয়নি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তরও। ব্যক্তিগত ৬ রানে আউট হন টাইগার অধিনায়ক। জ্যাকব ডাফির দিনের প্রথম শিকার তিনি। টাইগারদের বিপদটা আরও বাড়ান লিটন দাস। তিনিও ৬ রানে আউট হলে ৪৪ রানে বাংলাদেশে হারায় ৩ উইকেট।
এরপর তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে ইনিংস গুছানোর মিশনে নামেন সৌম্য। তবে, দুর্ভাগ্যজনক এক রানআউটে থামতে হয় হৃদয়কে। বোলার পায়ে লেগে বল আঘাত হানে উইকেটে। নন-স্ট্রাইকে থাকা হৃদয়ের কিছুই করার ছিল না। দলের স্কোর তখন ৮০ রানে ৪ উইকেট। মুশফিকুর রহিম ক্রিজে এসে সৌম্যকে সঙ্গ দিয়েছেন অনেকটা সময়। দেখেশুনে খেলে নিজের আর দলের স্কোর বাড়িয়েছেন।
৩৫তম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ১৭১ রানে আউট হন মুশফিক। জ্যাকব ডাফির অফ স্ট্যাম্পের বাইরে টোকা দিতে গিয়ে এজড হয়ে উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেলের হাতে চলে যান। ব্যক্তিগত ইনিংসে ৪৫ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। ডাফির তৃতীয় শিকার হয়ে তাকেও ফিরতে হয় বড় স্কোর করার আগে।
মুশফিকের সঙ্গে ৯১ রানের জুটিতে থাকা অবস্থাতেই নিজের অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন সৌম্য। এরপর মিরাজকে নিয়ে গড়েছেন ৬১ রানের জুটি। ব্যক্তিগত ১১৬ বলে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন তিনি। এরপরের সৌম্যর একাই টেনেছেন বাংলাদেশের ইনিংস। মাঝে মিরাজের ১৯ আর তানজিম সাকিবের ১৩ রানের ক্যামিও তাকে সঙ্গ দিয়েছে। মিরাজের পর জুনিয়র সাকিবের সঙ্গে তার জুটি ৪০ রানের। তবে ইনিংস শেষ করে যেতে পারেননি তিনি। ব্যক্তিগত ১৬৯ রান করে আউট হন সৌম্য যা ওয়ানডে ইতিহাসে বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
তানজিম সাকিবের পরেই এসেছিলেন রিশাদ। নিজের অভিষেকে প্রথম বলেই ছয় মেরেছেন। যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বর্ণিল শুরুটা আর বড় করা হয়নি। আর শেষ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ২৯১ রানেই থামতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
কিউইদের পক্ষে উইলিয়াম ও’রোকে ও জ্যাকব ডাফি সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ