বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির সোনার রাজহাঁস হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। আর বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এই বন্দর সচল রাখা প্রয়োজন। এই বন্দরের কারণে গড়ে উঠেছে চট্টগ্রাম শহর। এই শহর যদি না সচল না থাকে বন্দরকে বাঁচানো কষ্টকর হয়ে যাবে। তাই একই ছাদের নিচে থেকে আমাদেরকে কাজ করতে হবে।
রোববার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে বন্দরের শহীদ মুন্সী ফজলুর রহমান অডিটোরিয়ামে চট্টগ্রাম বন্দরের ১৪তম উপদেষ্টা কমিটির সভায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে (চসিক) প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন এসব কথা বলেন। এছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী। সভায় জুম অ্যাপে সভায় অংশ নেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
খোরশেদ আলম সুজন বলেন, বে-টার্মিনাল বাস্তবায়ন না হওয়ার পেছনে কারণ হচ্ছে একটি সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটকে বের করার ব্যবস্থা ব্যবস্থা নেয়া উচিত। এদের কারণে অনেকগুলো প্রকল্প বাস্তবায়ন হয় না। সুজন বলেন, বন্দরে আসা ট্রাক, টেইলরগুলোর জন্য অপেক্ষমান টার্মিনাল করা প্রয়োজন। এতে করে শহরের উপর কিছুটা চাপ কমবে।
বন্দরের সদস্য মো. জাফর আলমের সঞ্চলনায় সভায় ১৩তম সভার সিদ্ধান্তগুলোর অগ্রগতি তুলে ধরেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদ।
উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, ওয়াসিকা আয়েশা খান, কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো. ফখরুল আলম, সিডিএ চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি একেএম আলতাফ হোসেন, নুরুল কাইয়ুম খান, বিজিএমইএর নাসিরুদ্দিন চৌধুরী, সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন, বাফার পরিচালক খায়রুল আলম সুজন, নুরুল হক প্রমুখ। জুম অ্যাপে সভায় অংশ নেন এফবিসিসিআই’র সহসভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, বিকেএমইএর মো. হাতেম, রেজাউল করিম, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক রফিক আহমেদ প্রমুখ।
সভায় নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিশ্বের সেরা ১০০ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বন্দরের তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দরকে ৫৮ থেকে ৩০ এ আনার লক্ষ্যে কাজ করছি। নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, কর্ণফুলী নদীর ক্যাপিটাল ড্রেজিং করার জন্য যে সকল ইক্যুইপমেন্ট দরকার সংগ্রহ করছি। বন্দর চালু রাখতে গেলে ড্রেজিং করতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দর চালু আছে। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। ২০১৯ সালে আমরা কন্টেইনার হ্যান্ডলিং এ ছিলাম ৬৩ তম এবং চলতি বছরে এসেছি ৫৮ তম স্থানে। এখন বিশ্বের সেরা ১০০ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বন্দরের তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দরকে ৫৮ থেকে ৩০ এ আনার লক্ষ্যে কাজ করছি আমরা সবাই।
মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর সংশ্লিষ্ট সড়কগুলো জনগণের জন্য উন্নয়নে ব্যবস্থা নেবে। বন্দরের হাসপাতাল আধুনিকায়ন করা হবে। বন্দর স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানের রূপ দেওয়া হবে। বিএনএনিউজ/মনির