বিএনএ,চট্টগ্রাম: তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, লালদিয়া টার্মিনালের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দরকার। ওখানে যারা বসতি স্থাপন করেছে ওদেরকে স্থানান্তর করতে হবে। এতে বন্দরের সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, বে-টার্মিনাল প্রকল্পকে ফাস্ট টেক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন। এতে বন্দেরর উপর চাপ কমবে। দ্বিতীয়টি হচ্ছে বে-টার্মিনালের অধীনে পোর্ট নির্মাণ করা।
রোববার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের ১৪তম উপদেষ্টা কমিটির সভায় জুম অ্যাপের মাধ্যমে অংশ নেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, তথ্যমন্ত্রী বলেন, বে-টার্মিনাল থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে বঙ্গবন্ধু শিল্প নগর হচ্ছে। এই শিল্প নগরের মাঝ পথে আরেকটি বন্দর প্রয়োজন আছে কিনা। এতে করে ওই নগরের গুরুত্ব আরো বেড়ে যাবে। তিনি বলেন, আমরা বন্দর করব দেশের স্বার্থে, কোন ইন্টারেস্ট গ্রুপের স্বার্থে নয়। চট্টগ্রামে অনেকগুলো রেলের জায়গা পড়ে আছে, রেলের সাথে চুক্তি করে ওখানে টার্মিনাল করা যায়। চট্টগ্রাম বন্দরের যে স্টেডিয়াম আছে ওটাকে আন্তর্জাতিক মানের করা প্রয়োজন। এছাড়া বন্দর হাসপাতালের কিছু সিট বন্দরের অভ্যন্তরের জন্য বরাদ্দ রেখে আর কিছু সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া উচিত।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের গাড়ির রেন্ট চার্জ কমিয়ে দেওয়া দরকার বা মংলা বন্দরে গাড়ি চার্জ বাড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। এতে গাড়ির আমদানিকারকরা চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করবে। আর পায়রা বন্দর চালু হলেও প্রধান থাকবে চট্টগ্রাম বন্দর।
বন্দরের সদস্য মো. জাফর আলমের সঞ্চলনায় সভায় ১৩তম সভার সিদ্ধান্তগুলোর অগ্রগতি তুলে ধরেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদ।
সভায় নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনও বক্তব্য রাখেন।
উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, ওয়াসিকা আয়েশা খান, কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো. ফখরুল আলম, সিডিএ চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি একেএম আলতাফ হোসেন, নুরুল কাইয়ুম খান, বিজিএমইএর নাসিরুদ্দিন চৌধুরী, সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন, বাফার পরিচালক খায়রুল আলম সুজন, নুরুল হক প্রমুখ।
এছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।
জুম অ্যাপে সভায় অংশ নেন এফবিসিসিআই’র সহসভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, বিকেএমইএর মো. হাতেম, রেজাউল করিম, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক রফিক আহমেদ প্রমুখ।
বিএনএনিউজ/মনির