ঢাকা: জালিয়াতি, প্রতারণা এবং ব্যবসায়িক লেনদেনে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ রাজাসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বাকি আসামিরা হলেন—ইউনাইটেড হাসপাতালের এফসিএ মোস্তাক আহমেদ, সাব্বির আহমেদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর ২০২৪) সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ আহমেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হক পুলিশের ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এই পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে গ্রেফতার-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়।
আদালতের আদেশে বলা হয়, তদন্ত প্রতিবেদনে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তাই পেনাল কোড ১৮৬০-এর ৪০৬/৪২০/১০৯ ধারায় অপরাধ আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
এর আগে, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। পরে বাদীপক্ষের আইনজীবী খন্দকার গোলাম কিবরিয়া জোবায়ের আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ফরিদুর রহমান খান ১৫ বছর ধরে ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২০ সালের মে মাসে কোভিড-১৯ মহামারির সময়, হাসান মাহমুদ রাজাসহ অন্যান্য আসামি তাকে পদত্যাগে বাধ্য করেন। এরপর ফরিদুর রহমানের মালিকানাধীন ১ লাখ ২০ হাজার ১৬৫টি শেয়ার জোরপূর্বক দখল করা হয়। শেয়ারগুলোর মূল্য হিসেবে মোট ১২ কোটি ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও কোনো অর্থ প্রদান করা হয়নি।
এছাড়া, ফরিদুর রহমানের শেয়ারের লভ্যাংশ বাবদ প্রায় ১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয় এবং ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে তাকে হাসপাতালের পরিচালক পদ থেকেও বাদ দেওয়া হয়।
এই ঘটনায়, চলতি বছরের ২৮ আগস্ট ইউনাইটেড হাসপাতালের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রহমান খান হাসান মাহমুদ রাজাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
বিএনএনিউজ২৪, এসজিএন