বিএনএ,বিশ্বডেস্ক : ইসরায়েলের গণহত্যা রুখতে আরব ও পশ্চিমা বিশ্ব ব্যর্থ হলেও মরণ পণ লড়াই করে যাচ্ছে হামাস,হিজবুল্লাহ ও হুতিরা। তারই ধারাবাহিতায় লোহিত সাগরে ভারতগামী জাহাজ অপহরণ করেছে হুতি যোদ্ধারা। ইরানের সাহায্য প্রাপ্ত এই সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে গাজা যুদ্ধের শুরু থেকেই।
তুরস্ক থেকে ভারতের উদ্দেশে পণ্যবাহী জাহাজটি যাত্রা করেছিল । অপহৃত জাহাজটির নাম ‘গ্যালাক্সি লিডার’। এ জাহাজে বিভিন্ন দেশের প্রায় ২৫ জন নাগরিক রয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
জানা যায়, ইউক্রেন, বুলগেরিয়া, ফিলিপিন্স, মেক্সিকো সহ বহু দেশের নাগরিক আছে সেই অপহৃত জাহাজটিতে। ইয়েমেনের বন্দর শহর সালিফ-এ নিয়ে যাওয়া হয়েছে এই জাহাজটি। এই জাহাজটি একটি ব্রিটিশ সংস্থার। তার অংশীদার হচ্ছে আব্রাহাম উঙ্গার নামে ইসরায়েলি এক ধনকুবের।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, ‘দক্ষিণ লোহিত সাগরে ইয়েমেনের কাছে হুথিরা একটি পণ্যবাহী জাহাজ অপহরণ করেছে। গোটা বিশ্বে এই ঘটনার প্রভাব পড়বে। এটি একটি অত্যন্ত গুরুতর ঘটনা। জাহাজটি তুরস্ক থেকে ভারতের পথে রওনা হয়েছিল। যাত্রাপথে সেটি অপহৃত হয়েছে। বিভিন্ন দেশের নাগরিক সেই জাহাজে আছে। তবে এটি ইজরায়েলি জাহাজ নয়।’
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে বড়সড় ধরনের হামলা চালায় হামাস। তারা ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে। আকাশপথে ২০ মিনিটে ৫ হাজার রকেট ছুঁড়ে ১৪০০ ইসরায়েলিকে হত্যা করে হামাসের মিলিশিয়ারা । দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দি করে গাজা উপত্যকায় নিয়ে যায়।
এর জবাবে ইসরায়েল ৭ অক্টোবর থেকেই গাজা উপত্যকার বেসামরিক অবস্থানের ওপর নির্বিচারে বিমান হামলা শুরু করে যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে তারা । এর বেশিরভাগই শিশু।তাদের হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছেনা হাসপাতাল ,স্কুল, মসজিদ, গীর্জাসহ শরণার্থী ক্যাম্প । হামাস নিধনের নামে ইসরায়েলি সেনারা সাধারণ ফিলিস্তিনিদের হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে।###
বিএনএ/ ওজি