বিএনএ, নোবিপ্রবি : নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় গেল বৃহস্পতিবার(১৮ নভেম্বর)। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে বলে জানানো হয় প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে। এরমধ্যে ১০০ নম্বর জিএসটির ভর্তি পরীক্ষা থেকে আর বাকি ১০০ নম্বর ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল থেকে।
মেধাতালিকা তৈরিতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফলকে প্রাধান্য দেয়ায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মেধা তালিকা তৈরির এই পদ্ধতি পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন ভর্তিচ্ছুরা। তারা বলছেন, অটোপাসের ফলাফল দিয়ে শিক্ষার্থীদের মেধা মূল্যায়নের প্রক্রিয়াটি যুক্তিসংগত নয়।
নুর ইসলাম নামের এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী বলেন, বিগত বছরগুলোতে নোবিপ্রবিতে জিপিএ মার্কস ছিল ১০০। কিন্তু এ বছর জিপিএ মার্কস ১০০ করাটা আমিসহ হাজারো ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা মানতে পারছে না। কারণ, এ বছর অটোপাস দেয়ায় শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বছরের তুলনায় জিপিএ ৫ বেশি পেয়েছে। আর এই অটোপাসের মার্কস দিয়ে শিক্ষার্থীর মেধা মূল্যায়ন মোটেই যুক্তিসংগত হতে পারে না। সেজন্যে জবি, কুবি জিপিএ মার্কস ১০০ করার পরেও তারা তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। ভর্তিচ্ছু সব শিক্ষার্থীর কথা ভেবে জিপিএ ২০ করে দিয়েছে তারা। জিপিএর নম্বর কমানোর জন্য আমাদের বিনীত অনুরোধ থাকবে নোবিপ্রবি কতৃপক্ষের প্রতি।
কাফি মৃধা নামের আরেক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, অটোপাস উচ্চশিক্ষায় কোনো প্রভাব পড়বে না। ঢাবি, চবি, গুচ্ছভুক্ত বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে জিপিএর উপর ২০ মার্ক ধরা হয়েছে। রাবি, শাবিপ্রবিতে জিপিএর উপর কোনো মার্কস নেই।নোবিপ্রবিতে জিপিএর উপর ১০০ মার্কস! যেখানে কুবি প্রথমে দিলেও তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে তারা জিপিএ উপর ২০ মার্কস নির্ধারণ করে। নোবিপ্রবি কতৃপক্ষও আশা করি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, করোনার কারণে শিক্ষার্থীরা এবার এইচএসসিতে অটোপাস করলেও এসএসসিতে তারা পড়াশোনা করেই পরীক্ষায় বসে পাস করেছে। সেই দিক বিবেচনায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফলকে গুরুত্ব দিয়েছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও শিক্ষা বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, ‘মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল অবশ্যই ফ্যাক্ট। করোনার কারণে উচ্চমাধ্যমিকে অটোপাস করলেও শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষায় কিন্তু পড়াশোনা করেই উত্তীর্ণ হয়েছে। তবুও ভর্তিচ্ছুদের প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষিতে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের পরবর্তী বৈঠকে আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।’
বিএনএ/শাফি, এমএফ