বিএনএ বিশ্ব ডেস্ক: অস্ট্রিয়ায় মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। ফলে করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায় দেশটিতে আবারও সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার থেকে এটি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে ১০ দিনের জন্য লকডাউন দেয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরে সময়সীমা আরও বাড়ানো হতে পারে বলে জানানো হয়।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান চ্যান্সেলর আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গ। বিবৃতিতে বলা হয়, লকডাউনের কারণে সব ধরনের বার এবং রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকবে। অনলাইনের মাধ্যমে চলবে শিক্ষা কার্যক্রম। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশটিতে দৈনিক গড়ে ১০ হাজার করে আক্রান্ত শনাক্ত হচ্ছে।
এছাড়া, দেশটির সব নাগরিকের জন্য টিকা গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এটি কার্যকর করা হবে।
অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর বলেছেন, সাম্প্রতিক এই সংকটের জন্য ভ্যাকসিনবিরোধীরা দায়ী। তাদের অপপ্রচারের কারণেই অনেক নাগরিক ভ্যাকসিন নেননি। যে কারণে হাসপাতালগুলো ভরে গেছে এবং মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে।
অস্ট্রিয়ার ৬৬ শতাংশ নাগরিক করোনা ভ্যাকসিনের আওতায় এসেছেন, যা ইউরোপের সর্বনিম্ন হারগুলোর মধ্যে একটি। তবে, জনসংখ্যার অনুপাতে অস্ট্রিয়ায় সংক্রমণের হার এ মুহূর্তে ইউরোপে সর্বোচ্চ।
সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, জার্মানি, গ্রিস, ক্রোয়েশিয়াসহ ইউরোপের বেশ কিছু দেশে করোনার সংক্রমণ বেড়ে এযাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ হারে পৌঁছেছে। এর মধ্যে গ্রিস ও স্লোভাকিয়ায় সোমবার থেকে ভ্যাকসিন না নেয়া ব্যক্তিদের ওপর লকডাউন জারি করা হয়েছে। জার্মানি ও চেক প্রজাতন্ত্রও একই পথে হাঁটছে। বেলজিয়াম ও আয়ারল্যান্ডে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বিএনএনিউজ/আরকেসি