36 C
আবহাওয়া
৮:০৫ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয় মহানবী (সা.): প্রধানমন্ত্রী

সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয় মহানবী (সা.): প্রধানমন্ত্রী

সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয় মহানবী (সা.): প্রধানমন্ত্রী

বিএনএ ঢাকা: ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)’র শিক্ষা সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মহানবী (সা.)’র সুমহান আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে বলেও বিশ্বাস করেন তিনি।

বুধবার (২০ অক্টোবর) পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, করোনা মহামারিসহ আজকের দ্বন্ধ-সংঘাতসময় বিশ্বে প্রিয়নবী (সা.) অনুপম জীবনাদর্শ। তার সর্বজনীন শিক্ষা,সুন্নাহর অনুসরণ ও ইবাদতের মাধ্যমেই বিশ্বের শান্তি, ন্যায় এবং কল্যাণে নিশ্চিত হতে পারে। মহান আল্লাহ  প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)কে এ পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন শান্তি, মুক্তি, প্রগতি,সামগ্রিক কল্যাণের জন্য ‘রাহমাতুল্লিল আ’লামীন’ তথা সারা জাহানের রহমত হিসেবে। মুহাম্মদ (সা.) এসেছিলেন তওহিদের মহান বাণী নিয়ে। সব ধরনের কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার, পাপাচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবসত্তার চিরমুক্তির বার্তা বহন করে এনেছিলেন তিনি।

সরকার প্রধান বলেন, মহানবী বিশ্ববাসীকে মুক্তি ও শান্তির পথে আসার আহ্বান জানিয়ে অন্ধকার যুগের অবসান ঘটিয়েছিলেন এবং সত্যের আলো জ্বালিয়েছেন। তিনি বিশ্বভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, ন্যায় ও সমতাভিত্তিক সমাজ গঠন এবং মানবকল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করে বিশ্বে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিয়েছিলেন। বিশ্বশান্তির অগ্রনায়ক রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, নাগরিকদের মধ্যে শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখাসহ নানা দিক বিবেচনা করে প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেন মানব ইতিহাসের প্রথম প্রশাসনিক সংবিধান ‘মদিনা সনদ’। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা.)’র অনবদ্য ভূমিকার আরেকটি অনন্য স্মারক হুদায়বিয়ার সন্ধি। বাহ্যিক পরাজয়মূলক হওয়া সত্ত্বেও কেবল শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে এ সন্ধিতে সই করেন মহানবী। তার অমিত সাহস, ধৈর্য ও বিচক্ষণতা তখনকার মানুষকে যেমন বিমুগ্ধ করে, তেমনি অনাগত মানুষদের জন্যও শান্তি প্রতিষ্ঠার আদর্শ ও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকে। মুহাম্মদ (সা.) এর শান্তিপূর্ণ ‘মক্কা বিজয়’ মানব ইতিহাসের এক চমকপ্রদ অধ্যায়। কার্যত তিনি বিনাযুদ্ধে, বিনা রক্তপাতে ও বিনাধ্বংসে মক্কা জয় করেন। শত অত্যাচার-নির্যাতন ও যুদ্ধ করে আজীবন যে জাতি নবী করিম (সা.)কে সীমাহীন কষ্ট দিয়েছে, সেসব জাতি ও গোত্রকে মক্কা বিজয়ের দিন তিনি অতুলনীয় ক্ষমা প্রদর্শন করে তাদের সঙ্গে উদার মনোভাব দেখিয়ে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করেন। ক্ষমা ও মহত্ত্বের দ্বারা মানুষের মন জয় করে শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার এমন নজির বিশ্বে দুর্লভ।

শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারি, বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)’র জন্ম এবং ওফাতের পবিত্র স্মৃতি বিজড়িত ১২ রবিউল আউয়াল তথা ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) বিশ্ববাসী বিশেষত মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন। এ উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

Loading


শিরোনাম বিএনএ