বিএনএ স্পোর্টস ডেস্ক: সীমিত পরিসরের ক্রিকেটে সাকিব কতটা গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার তা পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যায়। মঙ্গলবার ওমানের বিপক্ষে ৪২ রান ও ৩ উইকেট নিয়ে সাকিব বাংলাদেশের আরেকটি জয়ের নায়ক।
দল যখন খারাপ সময় দিয়ে যাচ্ছিল তখন তার অলরাউন্ড পারফরম্যান্স ফিরিয়েছে স্বস্তি। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে সাকিবের অর্জন বরাবরই ঈর্ষণীয়। এবার তেমনই এক অর্জনে নিজেকে যুক্ত করলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একই ম্যাচে ৩০ এর বেশি রান ও ৩ বা তার বেশি উইকেট নেওয়ার সর্বাধিক কীর্তিটা এখন সাকিবেরই দখলে। সাকিব ছয়বার এমন কীর্তি করেছেন। আর বিশ্বকাপেই তার এমন কীর্তি আছে তিনবার।
২০১৩ সালে বুলাওয়েতে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪০ রান ও ৪ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে হংকংয়ের বিপক্ষে ব্যাট হাতে সাকিব করেন ৩৪ রান। বোলিংয়ে নেন ৩ উইকেট। ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বেঙ্গালুরুতে সাকিব করেন ৩৩ রান। বল হাতে শিকার ৩ উইকেট।
পরের বছর শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে ৩৮ রান ও ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। সাকিব ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন ২০১৮ সালে ঢাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ওই ম্যাচে ৫ উইকেট পান ২০ রানের খরচে। সঙ্গে ব্যাটিংয়ে ৪২ রান তো আছেই। এবার ওমানের বিপক্ষে তার ব্যাট হাসল। বোলিংয়েও ঘূর্ণি জাদু। ৪২ রান ও ৩ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বার ম্যান অব দ্য ম্যাচ। ২০১৪ সালে আফগানিস্তানের পর আবার ম্যাচসেরার পুরস্কার সাকিবের শোকেসে।
আইসিসি ইভেন্টে বাংলাদেশের শেষ পাঁচ জয়ের পাঁচটিতেই সাকিব ম্যাচ সেরা। ওমানের আগে ২০১৯ সালে আফগানিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর নায়ক তিনি। এর আগে ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিউ জিল্যান্ড বধের পুরস্কারটা সাকিবই পেয়েছিলেন।
বিএনএনিউজ২৪/এমএইচ