বিএনএ ডেস্ক: বছর ঘুরে আবার এসেছে ১২ই রবিউল আউয়াল। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম ও মৃত্যু দিবস। প্রায় সাড়ে চৌদ্দশ’ বছর আগে এইদিনে আরবের মরু প্রান্তরে কোরাইশ বংশে মা আমেনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন এই বিশ্বনবী। জন্মের আগেই পিতৃহারা আর জন্মের কিছুদিনের মধ্যেই মাকে হারান তিনি। এরপর, নানা প্রতিকূলতার মধ্যে চাচা আবু তালেবের আশ্রয়ে বড় হন মহানবী (সা.)।
আইয়ামে জাহেলিয়াতের কালে আল্লাহর একত্ববাদ বা তাওহিদের মহান বাণী প্রচার করেন এই মহামানব। চল্লিশ বছর বয়সে নবুওয়াত পান তিনি। ইসলামের শান্তির ললিত বাণীর প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ ২৩ বছর নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন। এরপর, ৬৩ বছর বয়সে আবার এই দিনেই পৃথিবী ছেড়ে চলে যান মহানবী (সা.)।
তাই মুসলিম সস্প্রদায়ের কাছে দিনটি অতি পবিত্র। এই দিনটিকে ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে আসছেন তারা। ধর্মীয় আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল আর আনন্দ মিছিলের মধ্যদিয়ে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী। এ উপলক্ষে নানা কর্মসূচি নিয়েছেন ইসলামী সংগঠনগুলো।
এর অংশ হিসেবে বুধবার(২০ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জামেয়া আহমদিয়া মাদ্রাসা থেকে ঈদে মিলাদুন্নবীর বিশাল শোভাযাত্রা বের করা হয়। এটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার সেখানে এসে শেষ হয়। এতে অংশ নেন লাখো আলেম-ওলামা ও ধর্মপ্রাণ মুসলমান।
এরআগে ভোর থেকে চট্টগ্রামের আশপাশের উপজেলাগুলো থেকে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান জামেয়া আহমদিয়া মাদ্রাসা ময়দানে জমায়েত হন। দিনভর সেখানে হুজুরে পাক (সা.)র জীবনী নিয়ে আলোচনা, মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।
তবে, মহানবী (সা.)’র জন্ম ও ওফাত দিবসকে ঘিরে অতিরঞ্জিত কোন কিছু না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামি চিন্তাবিদগণ।
বিএনএনিউজ/আরকেসি