21 C
আবহাওয়া
৭:৪৫ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » মিয়ানমারে শিশুদের স্কুলে সেনাবাহিনীর গুলি: নিহত ১১, নিখোঁজ ১৫

মিয়ানমারে শিশুদের স্কুলে সেনাবাহিনীর গুলি: নিহত ১১, নিখোঁজ ১৫

মিয়ানমারে শিশুদের স্কুলে সেনাবাহিনীর গুলি

মিয়ানমারের সাগাইঙ্গ অঞ্চলের শিশুদের একটি স্কুলের ওপর হেলিকপ্টার থেকে জান্তা সেনারা গুলিবর্ষন করেছে। এতে অন্তত ১১টি শিশু নিহত এবং আরও ১৫ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ। খবর বিবিসির।

বিবিসির সংবাদদাতা জানান, উত্তরাঞ্চলীয় ডিপিইন টাউনশিপের গ্রামে বৌদ্ধ মঠের পরিচালিত স্কুলটিতে ঐ হামলার ঘটনটি ঘটেছে গত শুক্রবার, কিন্তু আজ মঙ্গলবারই প্রথম ঘটনাটির কথা জানা যাচ্ছে।

হামলায় ক্লাশ রুম পুড়ে যায়
হামলায় ক্লাশ রুম পুড়ে যায়: ছবি-  ব্যাংকক পোস্ট

প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কয়েকটি ক্লাশ রুম পুড়ে গেছে। স্কুলের সর্বত্র রক্তের ছোপ ছোপ দাগ, গুলিতে পাকা দালানের দেয়াল ভেঙ্গে পড়েছে।এই স্কুলে কিন্ডারগার্টেন থেকে শুরু করে কিশোর বয়স পর্যন্ত শিশুদের শিক্ষা দেয়া হতো।

বিবিসির বার্মিজ সার্ভিস এর আগে নিশ্চিত করেছিল যে, ঐ হামলায় অন্ততপক্ষে ছয়টি শিশু নিহত হয়। তাদের মধ্যে দুটি ছেলের বয়স সাত এবং ১৪ বছর, আর তিনটি মেয়ের বয়স সাত, নয় আর ১১ বছর। কাছাকাছি একটি স্থানে মাছ ধরতে থাকা আরেকটি ১৩ বছরের শিশুও গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ বলছে, হেলিকপ্টার থেকে নির্বিচারে গুলি করার কারণে স্কুলের শিশুরা নিহত হয়েছে। নিখোঁজ ১৫ শিশুকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

হেলিকপ্টার থেকে গুলিবর্ষন করে হত্যা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর মিয়ানমার সেনা সদস্যরা স্কুলটিতে তল্লাশি চালিয়ে মরদেহ সমূহ তুলে নিয়ে পাশের গ্রামে গণ কবর দিয়েছে। আর জীবিতদের অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

বেশিরভাগ শিশুর মরদেহ বার্মিজ সৈন্যরা নিয়ে গেছে।

একটি আন্তর্জাতিক এনজিওর হিসেব অনুযায়ী, মিয়ানমারে চলতি বছর এপর্যন্ত প্রায় দু’শতাধিক স্কুলের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।

গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী নাটকীয়ভাবে অং সান সু চি’র নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে।

সেই অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত ২৩শতের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর দি পলিটিকাল প্রিজনারস (বার্মা)।

পর্যবেক্ষকরা বলেছেন, মিয়ানমারে চলা রক্তক্ষয়ী লড়াই থেকে এই বছর একটি গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ারও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

দেশের অনেক এলাকায় পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) নামের গেরিলা বাহিনীর শক্ত প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়েছে সরকারি বাহিনী।

বিবিসির দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সংবাদদাতা জোনাথন হেড বলছেন, এসব এলাকায় নিয়মিতভাবে বিমান ও হেলিকপ্টার হামলা চালাচ্ছে মিয়ানমারের বাহিনী। স্থানীয় জনসাধারণের সহায়তা পাওয়া গেরিলা বাহিনীকে মোকাবেলা করতে গিয়ে তারা হিমশিম খাচ্ছে। সূত্র : বিবিসি, ব্যাংকক পোস্ট।

বিএনএনিউজ২৪,জিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ