বিএনএ, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহে ১৪ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে হোসেন আলীকে (৫০) গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪ ।রোববার (১৯) রাতে নগরীর কৃষ্টপুর এলাকা থেকে র্যাব- ১৪ হোসেন আলীকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি মডেল থানায় সোপর্দ করে।গ্রেফতারকৃত হোসেন আলী ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি।
এ ঘটনায় ওই দিন মধ্যরাতে ভিক্টিম কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে হোসেন আলী ও তার তৃতীয় স্ত্রী তামান্না বেগমকে আসামি করে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ।
তিনি বলেন, ভিক্টিম কিশোরীর বাবা র্যাব ১৪’র কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে হোসেন আলীকে গ্রেফতার করে থানায় হস্তান্তর করেন। তাকে আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, নগরীর কৃষ্টপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকার সুবাদে হোসেন আলী প্রায়ই ওই বাসায় আসা যাওয়া করত। এই সুযোগে সে ভিক্টিম কিশোরীর সাথে সাথে কথাবার্তা বলত।এমতাবস্থায়, চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি সকালে হোসেন আলীর তৃতীয় স্ত্রী তামান্না বেগম ওই কিশোরীকে তাদের ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিত ভাবে সেভেন-আপের সাথে নেশা জাতীয় ঔষধ সেবন করায়। এতে কিশোরী অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে ধর্ষণ করে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে হোসেন আলী।
পরে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে তার সাথে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক করতে বলে ধর্ষক।পরের দিন সকালে আবারও তামান্না বেগম ওই নাবালিকাকে ডেকে এনে তার স্বামী হোসেন আলীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে দিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে বাইরে বসে পাহারা দেয়।এই ভাবে টানা ৫ মাস ওই নাবালিকা কে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে হোসেন আলী।
পরবর্তীতে ওই নাবালিকা ঘটনাটি তার মাকে জানালে মান-সম্মানের ভয়ে তারা ভাড়া বাসা ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। কিন্তু ধর্ষক হোসেন আলী সেখানেও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের নিয়ে এলাকায় মহড়া দিয়ে ওই কিশোরী মেয়েকে অপহরণ করে হত্যার হুমকি দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মামলার বাদী।
ওসি কামাল আরও বলেন, ইতিমধ্যে হোসেন আলী ওই কিশোরীকে ধর্ষণের পর জনতার হাতে আটক হয়েছিল। ওই সময় সে স্থানীয় সালিশে বিষয়টি মীমাংসা করে ধামাচাপা দেয়। কিন্তু, সে ওই কিশোরীর পিছু ছাড়েনি। এবার র্যাবের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিএনএ/ হামিমুর রহমান,ওজি