স্বাস্থ্য ডেস্ক: বর্তমানে সারাদেশে মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু। প্রায় প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ আবার মারাও যাচ্ছে অনেকে।এমন সময় ডেঙ্গু রোধে সচেতনতার পাশাপাশি ডেঙ্গু থেকে দ্রুত সেড়ে উঠার জন্য সঠিক চিকিৎসা ও সঠিক খাবার গ্রহণ করাটাও গুরুত্বপূর্ণ।
যদিও ডেঙ্গুর কোনো সুনির্দিষ্ট প্রতিকার নেই তবে স্বাস্থ্যকর পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অসুস্থতার তীব্রতা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
ডেঙ্গুতে যা খাবেন
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে এমন সব ষ্টিসমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত যা কার্যকরভাবে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করতে পারে।
১. ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার : ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন কমলালেবু, লেবু এবং জাম্বুরার মত ফল বেশি করে খাওয়ানো উচিত। ভিটামিন সি পরিপূর্ণ খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং কোষ মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে।
২. পাতাযুক্ত শাক : পালং শাক, লাল শাক এবং অন্যান্য শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং আয়রন রয়েছে, যা প্লাটিলেট বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে এবং সামগ্রিক সুস্থতার তরান্বিত করে।
৩. চর্বিহীন প্রোটিন : ডেঙ্গুতে মুরগি, মাছ এবং টফুর মতো চর্বিহীন প্রোটিন পেশী পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে। এ ছাড়া এ জাতীয় খাবার শরীরের নিরাময় প্রক্রিয়াকে দ্রুত গতির করতে সাহায্য করে।
৪. ডাবের পানি : ডেঙ্গুর জ্বর হলে শরীরে তরল পদার্থের শূন্যতা সৃষ্টি হয়। যা শরীরকে ডিহাইড্রেট করে তোলে এবং সৃষ্টি হয় ডিহাইড্রেশন। এ ছাড়া ইলেক্ট্রোলাইটসে ভারসাম্যহীনতাও দেখা দেয়। এ সময় বেশি বেশি করে ডাবের পানি পান করলে শরীরকে হাইড্রেট রেখে ইলেক্ট্রোলাইটগুলি পুনরায় পূরণ করা সম্ভব হয়।
৫. ডালিম : ডালিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। সেই সঙ্গে এতে রয়েছে পরিমাণ মতো মিনারেল। যদি আপনি নিয়ম করে ডালিম খান তাহলে বেড়ে যাবে প্লেটলেটের সংখ্যা। এই উপকারী ফলটি খেলে ক্লান্তি ও অবসাদ অনুভূতিও দূর হবে।
৬. দই : দই এক ধরনের প্রোবায়োটিক যা মূলত শ্বাসযন্ত্র ও গ্যাস্ট্রোইনটেসটিন্যাল বা পেটের সংক্রমণের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে হজমে সহায়তা করে। এটি শরীরে অ্যান্টিবডি প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ