বিএনএ, ময়মনসিংহ, হামিমুর রহমান: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ৮ লক্ষ ৪০ হাজার শলাকা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত কনিকা এবং পঁচা বিড়িসহ চার ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব-১৪।শুক্রবার সকালে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সরকারের কর ফাঁকি দিয়ে বিড়ি উৎপাদন করার দায়ে ২টি নকল অবৈধ বিড়ি ফ্যাক্টরীতে অভিযান পরিচালনা করেন র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সিনিয়র এডিশনাল এ এস পি রফিউদ্দিন মুহাম্মদ জুবায়ের, এএসপি আক্কাস আলী সহ র্যাব ১৪ এর সদস্যরা।
আটককৃতরা হলেন মোঃ আব্দুল বারিক (৬৫), মোঃ আলাল মিয়া (২৭), মোঃ কামাল মিয়া (৩৪) ও মোঃ ইকবাল মিয়া।
র্যাব-১৪ এর এডিশনাল এ এস পি রফিউদ্দিন মুহাম্মদ জুবায়ের বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শিবপুরের কান্দাপাড়া গ্রামে পঁচা বিড়ি ফ্যাক্টিরি ও কনিকা বিড়ি ফ্যাক্টরীতে ২টি পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত ৫ লক্ষ ১০ হাজার শলাকা কনিকা বিড়ি এবং ৩ লক্ষ ৩০ হাজার শলাকা পঁচা বিড়িসহ চার ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। সরকারের কর ফাঁকি দিয়ে এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে কিশোরগঞ্জের ভৈরব সহ অন্যান্য উপজেলার বিভিন্ন বাজারে নকল বিড়ি বাজারজাত করছিল। তাদের বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ সময় র্যাব-১৪ দন্ডনীয় কর্মকান্ড হতে সকলকে বিরত থাকতে আহব্বান জানান। সকল বাজার ও দোকান হতে নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত বিড়ি তুলে ফেলতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাজার কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়। এ সময় দন্ডনীয় কর্মকান্ড হতে সকলকে বিরত থাকতে আহব্বান জানান।
সরকারী বিধিমতে সরকার নির্ধারিত ১৮ টাকা মূল্যের কমের যেকোনও বিড়ি উৎপাদন, পরিবহন ও বিক্রয় সম্পূর্ণ দন্ডনিয় অপরাধ। কর্মকর্তারা সকল কমদামী নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়ি উৎপাদন ও বিক্রয় বন্ধে ব্যবসায়ীসহ সকলের সহযোগীতা কামনা করেন। নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত কমদামী বিড়ির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বিএনএ/ ওজি