24 C
আবহাওয়া
১১:৪৬ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২১, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সহিংসতা করলে ছেঁকে ছেঁকে ধরা হবে : প্রধানমন্ত্রী

সহিংসতা করলে ছেঁকে ছেঁকে ধরা হবে : প্রধানমন্ত্রী


বিএনএ, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি সন্ত্রাস ছাড়া আর কিছুই বোঝে না। ভোট পায়নি বলে দেশের মানুষকে নির্বাচনের আগে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মেরেছিল। এদের হাত থেকে দেশবাসী রক্ষা পাক, সেটাই আমরা চাই। আমরা তাদের রাজনীতিতে বাধা দিচ্ছি না। তবে, রেল ও মানুষের কোনো ক্ষতি করলে আমরা ব্যবস্থা নেব। সব জায়গায় আমাদের সিসি ক্যামেরা থাকবে। একেবারে ছেঁকে ছেঁকে ধরে তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নবনির্মিত ৭২ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন রেলপথে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ভার্চ্যুয়ালি তিনি এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন করতে পারছি। কারণ, জনগণ নৌকায় ভোট দিয়ে সুযোগ দিয়েছিল। জনগণকে বলব, বিএনপি-জামায়াতের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করুন। এরা সৃষ্টি করতে না পারলেও ধ্বংস করতে পারে। এরা মানুষকে কিছু দিতে পারে না, কিন্তু লুটপাট করতে পারে। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে লোকসানের কারণে রেললাইন বন্ধ করতে চেয়েছে। রেলের কর্মচারীদের গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে বিদায়ও দিয়েছিল কিন্তু তাদের পাওনা বুঝিয়ে দেয়নি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে রেল কীভাবে উন্নত হয়, সে পদক্ষেপ নিই। পরে আবার দ্বিতীয়বার ২০০৯ সালে এসে আলাদা মন্ত্রণালয় করে দেই। আমি দেখলাম, আলাদা মন্ত্রণালয় না করলে আর বাজেটে তাদের জন্য আলাদা বরাদ্দ না থাকলে রেল উন্নত করতে পারবো না।

এসময় বিএনপির হাতে রেলের ক্ষয়ক্ষতি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। বিএনপি সন্ত্রাস ছাড়া কিছু বোঝে না। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু, চারনেতা হত্যাসহ নানা হত্যা, ক্যু’তে জড়িত। এরপর বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াও একইপথে হেঁটেছে। ২০১৪-১৫ সালে দলটি দেশের বিভিন্ন জায়গায় রেললাইন নষ্ট করে। অগ্নিসন্ত্রাস করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে যত পরামর্শ দিক, দেশটা আমাদের। এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন আমাদেরই করতে হবে। সেই চিন্তা থেকে আমি দেশ চালাই। কবে কে কী পরামর্শ দিয়েছে সেটা নয়, মানুষের উন্নতি ও সমৃদ্ধির কথা চিন্তা করে আমরা পদক্ষেপ নিই। আমার দেশ, আমার চিন্তা। আমার দেশের মানুষের কীসে মঙ্গল সেটা আমরাই ভালো বুঝি।

রেলের উন্নয়নে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ ও উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে রেলের প্রভূত উন্নতি সাধান করি। এই যে জ্বালানো-পোড়ানো, এই ক্ষতি থাকার পরও ইতোমধ্যে ৭৪০ কিলোমিটার নতুন রেল লাইন নির্মাণ, ১২৬টি নতুন স্টেশন ভবন নির্মাণ, ৫৩২টি নতুন রেল সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। ১১১টি লোকোমোটিভ, ৫৬৮টি যাত্রীবাহী ক্যারেজ, ৫৩৬টি মালবাহী ওয়াগন সংগ্রহ করা হয়েছে। ১৪৩টি নতুন ট্রেন চালু করেছি। কক্সবাজার রুটে রেললাইন নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। এখন আমাদের লক্ষ্য, পদ্মা সেতু থেকে একেবারে বরিশাল, ঝালকাঠি থেকে শুরু করে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে রেললাইন সম্প্রসারণ করব। সমীক্ষার কাজ চলছে, এখানে মাটি খুব নরম। আর অসংখ্য নদী-নালা, খাল-বিল সেখানে, একটু সময় লাগছে, তবুও এখন নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে, ভবিষ্যতে আমরা এটা করতে পারব বলে বিশ্বাস রাখি।

তিনি বলেন, আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েল গেজ ডাবল লাইনের ট্রেন চলাচলের ৭২ কিলোমিটার মেইন লাইন, ৪৬ কিলোমিটার লুপ ও পাইলিং লাইনসহ প্রায় ১৮৫ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ শেষ হয়েছে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি এই লাইনে গতিবেগ সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার। রেলে আমরা গতি এনে দিয়েছি, কিন্তু চালকদের অনুরোধ করব যে, খুব বেশি ঘনবসতি, যেখানে মানুষ হাঁটাচলা করে, ট্রেন চালানোর সময় অবশ্যই স্পিড কম করে চালালে ভালো হবে, সুরক্ষিত থাকবে আশেপাশের মানুষ। সেটা মাথায় নিয়ে একটু ধীরেই চালাবেন, তাতে খুব একটা ক্ষতি হবে না। যারা চালাবেন, তাদের প্রতি আমার এই একটা অনুরোধ থাকল। রেল দুর্ঘটনা যেন না ঘটে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে।

রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবির। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে পতাকা নেড়ে এবং বাঁশি বাজিয়ে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন।

বিএনএ/এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ