বিএনএ,জামালপুর : পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে জামালপুরে যমুনা, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র ও জিঞ্জিরামসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যায় জেলার ইসলামপুর,দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ, সরিষাবাড়ী ও মাদারগঞ্জ উপজেলার ৩০টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। অন্তত ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ডুবে গেছে নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন ফসল।
পাঠদান বন্ধ হয়েছে জেলার অর্ধশতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
জেলা শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, জেলায় এক হাজার ১৬১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৫৯১টি মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত পাঠদান চলে। কিন্তু সম্প্রতি বন্যায় কিছু প্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রতিবারের মতো বন্যার্তদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জেলায় ৯০টি বিদ্যালয়ে বন্যার পানি ঢুকেছে। এর মধ্যে ৪৬টি প্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। বাকিগুলো কয়েকদিন পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে সোমবার (২০ জুন) সকালে জেলার ইসলামপুর উপজেলার পশ্চিম বামনা ঘোনাপাড়া গ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে আরিফা (৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শিশুটি ওই গ্রামের মো. আলম মিয়ার মেয়ে।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারিভাবে জেলার সাতটি উপজেলায় ৫০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১ লাখ করে টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বিএনএ/ শাহীন, এমএফ