18 C
আবহাওয়া
৬:৫৫ পূর্বাহ্ণ - ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ফের শুরু হচ্ছে আবরার হত্যা মামলার কার্যক্রম

ফের শুরু হচ্ছে আবরার হত্যা মামলার কার্যক্রম

আবরার হত্যা:তদন্ত কর্মকর্তার জেরা ২৮ ফেব্রুয়ারি

 আদালত প্রতিবেদক: দীর্ঘদিন করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবরোধে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল।শনিবার (১৯ জুন) উচ্চ আদালতের নির্দেশে আজ থেকে নিম্ন আদালতের স্বাভাবিক বিচারকাজ শুরু হয়েছে।এসময় অন্যান্য মামলার কার্যক্রমের মত বন্ধ ছিলো বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বী হত্যা মামলার কার্যক্রম।আদালতে কার্যক্রম শুরু হওয়ায় ফের শুরু হচ্ছে মামলাটির কার্যক্রম।

রোববার (২০ জুন) আদালতে কার্যক্রম স্বাভাবিক ভাবে শুরু হতেই দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের কার্য তালিকায় আবরার হত্যা মামলাটি আসে।মামলাটির অসমাপ্ত বিচারকাজ শেষ করতে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ২৭ জুন দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ১৪ মার্চ সর্বশেষ মামলাটি আদালতের কার্যভুক্তি ছিলো।

ঐদিন আদালতে আসামিরা আত্মপক্ষ সমর্থনে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।এসময় বিচারক তাদের প্রশ্ন করেন,আপনাদের বিরুদ্ধে ৪৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন, আপনাদের বিরুদ্ধে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে, আপনারা দোষী না নির্দোষ? উত্তরে তারা বলেন, ‘আমরা নির্দোষ। আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছি।’ গত ৪ মার্চ একই আদালত ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্তি ঘোষণা দেন।

উল্লেখ্য, আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন।
তিনি থাকতেন বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচ তলার ১০১১ নম্বর কক্ষে।ফেইসবুকে পোস্টের জের ধরে গত বছর ৬ অক্টোবর একই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে তাকে নির্যাতন করে তাকে হত্যা করে বুয়েট ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী।রাত ৩টার দিকে হল থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরের দিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় ১৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন তার বাবা বরকতুল্লাহ।একই বছরের ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।এই বছরের ২১ জানুয়ারি এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। আসামিদের মধ্যে ২২ জন কারাগারে ও তিন জন পলাতক রয়েছে।

কারাগারে থাকা ২২ আসামি হলেন-মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও এস এম মাহমুদ সেতু। মামলার তিন পলাতক আসামি হলেন-মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ।

বিএনএ নিউজ, সহিদুল ইসলাম, এসজিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ