20 C
আবহাওয়া
৬:১৬ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বিয়ের নামে কাবিন বাণিজ্য: জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

বিয়ের নামে কাবিন বাণিজ্য: জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

বিয়ের নামে কাবিন বাণিজ্য: জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

বিএনএ, চট্টগ্রাম: সম্প্রতি চট্টগ্রামে প্রতারণার মাধ্যমে জিম্মি করে বিয়ের নামে কাবিন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে তাহমিনা আক্তার টুম্পা নামে এক নারীর বিরুদ্ধে। শনিবার (২০ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে উক্ত প্রতারক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ভুক্তভোগী রমিজ আহমদ (৫৮)। এ সময় ভুক্তভোগীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মানবাধিকার কর্মী জান্নাতুল আরেফা চৌধুরী মিথিলা।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ ও লিখিত বক্তব্যে জানা যায়, রমিজ আহমদ (৫৮), পেশায় রেয়াজউদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী (পৈত্রিক আবাসিক হোটেল দেখাশুনা করে)। তিনি সম্ভ্রান্ত মুসলিম ঘরের সন্তান এবং সহজ সরল জীবন যাপন করে জীবনের শেষ ধাপে এসে পড়েছেন। তিনি ছোটবেলা থেকে সহজ সরল ও চলাফেরায় হাবাগোবাদের মত এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হওয়ায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ বিবাহ করাতে পারেননি। তিনিও কখনো নিজের জন্য জীবন সঙ্গী খুঁজে নিতে পারেননি।

তার সহজ সরল জীবনে ২০২২ সালের শেষ দিকে রেয়াজউদ্দিন বাজারে তার ব্যক্তিগত ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের পাশ্ববর্তী দোকানদার মামুন নামের এক ব্যক্তি আবছার (৪৬) নামে এক ব্যক্তির কাছে সাংসারিক ও ভালো চরিত্রের মেয়ে আছে বলে পরিচয় করিয়ে দেয়। পরিচিত হওয়ার ২/১দিন পরেই আবছার হোটেল সফিনাতে তাহমিনা আক্তার টুম্পাকে (৩৮) নিজের খালাত বোন হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়। প্রথম দেখাতেই ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার আদান প্রদান হয় টুম্পার সাথে। টুম্পা নিজেকে অবিবাহিত দরিদ্র ঘরের সন্তান হিসেবে পরিচয় দেয়। পরিচয় হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময় মুঠোফোনে টুম্পার সাথে তার (রমিজ আহমদ) কথা হত এবং টুম্পার কথা অনুযায়ী নানা সময় শহরের বিভিন্ন রেষ্টুরেন্টে দেখা করতে যেতো। এরই মধ্যে টুম্পা রমিজ আহমদকে পছন্দ করতে শুরু করেছে বলে জানায়। ভুক্তভোগীও কখনো কোনো নারীর প্রেমে পড়েনি বা তার জীবন সঙ্গী হিসেবে কোনো নারী ছিলনা।

তাহমিনা আক্তার টুম্পা তাকে নিয়ে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে উন্নত মানের খাওয়া দাওয়া, বিভিন্ন শপিং মলে গিয়ে দামী থ্রি-পিছ, জুতা, গহনা, শাড়ী, ঘড়ি ও দরিদ্র পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য কেনাকাটা করত। এক পর্যায়ে তাহমিনা আক্তার টুম্পা তার বাবা আব্দুল কাইয়ুম সরকার (৬২), মাতা কোহিনুর বেগম (৫৮), ভাই সাখাওয়াত হোসেনকে (৩২) একটি রেষ্টুরেন্টে এনে তার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। এর কিছুদিন পর তাহমিনা আক্তার টুম্পা তাকে (রমিজ আহমদ) বিয়ের প্রস্তাব দেয়।

পরবর্তীতে তিনি টুম্পার মা-বাবার সাথে এই বিষয় কথা বলতে চাইলে টুম্পা একটি রেস্টুরেন্টে আব্দুল মালেক গাজী (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে টুম্পার অভিভাবক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়। আব্দুল মালেক গাজী নামের ঐ ব্যক্তি বিয়ের সকল দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তাহমিনা আক্তার টুম্পা রিনা আক্তার (৪২) নামে এক নারীর সাথে পরিচয় করায় এবং সেই নারীর বাসায় কয়েকবার তাকে (রমিজ আহমদ) নিয়ে টুম্পা বেড়াতে যায়। এরই মধ্যে তাহমিনা আক্তার টুম্পা অভিযোগকারীর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে দেখা করার নামে আসা যাওয়া শুরু করে। এবং তার (রমিজ আহমদ) ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের আশ-পাশের লোকজন থেকে তার আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়। যা ভুক্তভোগী পরবর্তীতে জানতে পারে। হঠাৎ করেই তাহমিনা আক্তার টুম্পা তার বাবা-মায়ের অসুস্থতার কথা বলে এবং বিশেষ প্রয়োজন দেখিয়ে কয়েক ধাপে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা হাওলাতের নাম করে হাতিয়ে নেয়। মাঝে মধ্যে টুম্পার মাধ্যমে পরিচিত ব্যক্তিদেরকে উপহার দেয়ার জন্য টাকা পয়সা চেয়ে নিত। কিন্তু টুম্পার সাথে রেষ্টুরেন্টে দেখা করতে গেলেই সঙ্গে থাকত টুম্পার খালাত ভাই হিসেবে পরিচিত আবছার ও অভিভাবক হিসেবে আব্দুল মালেক গাজী। হঠাৎ করে ২০২৩ সালের মাঝামাঝিতে এসে আব্দুল মালেক গাজী তার সাথে টুম্পার বিয়ের বিষয়ে পাকাপোক্ত আলাপ করতে আসে। ভুক্তভোগী (রমিজ আহমদ) তখনি মালেক গাজীকে বলে আমার বড় ভাই, পরিবারের লোকজন এবং ভাতিজাদের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো।

উত্তরে মালেক গাজী বলেন, আপনার বউ (টুম্পা) এতো সুন্দর এটা আপনার ভাই-ভাতিজারা জানলে হিংসা করবে। আপনি সুন্দরী পাত্রীকে হারাবেন। কাউকে জানানোর প্রয়োজন নেই- বিয়ে করে তারপর জানাবেন। সুন্দরী টুম্পা ও তার কথিত অভিভাবক মালেক গাজীর কথা অনুযায়ী সরল মনে ভুক্তভোগী নিকটাত্মীয় কাউকে কিছু জানায় নি। পরবর্তীতে সে (রমিজ আহমদ) ২লক্ষ ১টাকা দেনমোহর এবং ৫০ হাজার টাকা উসুল দিয়ে তাহমিনা আক্তার টুম্পাকে বিয়ে করতে রাজি হয়। ২০২৩ সালের ১৪ জুন বিকেল আনুমানিক ৪ টার সময় তাহমিনা আক্তার টুম্পা তাকে বিয়ের জন্য প্রস্তুত হয়ে মুরাদপুর আসতে বলে এবং বিয়ের কাবিন হওয়ার কথাটি মনে করিয়ে দেয়। সাথে আর কাউকে আনতে হবে না বলে বার বার বলতে থাকে। তখনই ভুক্তভোগী তার পক্ষ থেকে সাক্ষী হিসেবে ২-১জনকে আনার কথা বললে সে বলে সাক্ষী রেডি আছে, তুমি একা চলে আসো। সাথে বিয়ের জন্য এবং কাজীর খরচ দিতে হবে-তাই বেশি করে টাকা নিয়ে এসো।

ভুক্তভোগী (রমিজ আহমদ) জীবনে প্রথমবারের মত বিয়ে করতে যাচ্ছে- হাজারো স্বপ্ন নিয়ে খুশী মনে টুম্পার দেয়া ঠিকানা অনুযায়ী পৌঁছালে টুম্পা তড়িঘড়ি করে টেক্সি নিয়ে আগ্রাবাদের কথা বলে কোর্ট বিল্ডিং এলাকায় নিয়ে আসে এবং একাধিক গলি পার করিয়ে আলো-আধাঁরে আচ্ছন্ন একটি রুমে প্রবেশ করায়। সেই রুমে আগে থেকেই অবস্থান করছিলো আবছার, মালেক গাজীসহ আরো বেশ কয়েকজন টুম্পার পরিচিত লোকজন। এই সময় কাজী পরিচয়ে এক ব্যক্তি আমাকে কাবিননামায় স্বাক্ষর করতে বলেন- ভুক্তভোগী চোখে তেমনটি দেখতে পায়না এবং রুমে আলো কম থাকায় সব কিছু আবছা আবছা দেখতে পাচ্ছিলো- তাই কাবিন কত লিখেছে সে বিষয়ে জানতে চাওয়া মাত্র তাকে কেউ কোন উত্তর দিচ্ছিলো না। এই সময় ভুক্তভোগী তার বড় ভাইয়ের সাথে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইলে প্রতারক টুম্পা নিষেধ করে এবং আব্দুল মালেক গাজী তার হাত থেকে মোবাইল ফোনটি কেড়ে নিয়ে সুইচ অফ করে টুম্পার কাছে দিয়ে দেয়। পরবর্তীতে কাবিনের বিষয়ে আবারো প্রশ্ন করলে কাজী ধমক দিয়ে বলে উঠে- আপনার কপাল ভালো এত সুন্দরী একটা মেয়ে আপনাকে বিয়ে করছে- সেখানে কাবিন জেনে কি করবেন? এই সময় পাশ থেকে দুইজন লোক আমাকে অনেকটা জোর করে ধরিয়ে স্বাক্ষর ও টিপসই করায়। পরবর্তীতে বিয়ে উপলক্ষ্যে একটি অভিজাত রেষ্টুরেন্টে প্রায় ৮-১০ জনের খাবার বিল বাবদ ভুক্তভোগীর কাছ থেকে টুম্পার ভাই আবছার নগদ ১৮ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। বিল দেয়া শেষ হতেই টুম্পা ও তার সাথে থাকা সবাই আমাকে একা রেখে চলে যায়। যা আমার কাছে অবাক লেগেছে। আমি অনেকটা মন খারাপ করে বাসায় ফিরে আসি।

হঠাৎ ৪/৫দিন পর টুম্পা ভুক্তভোগী রমিজ আহমদকে ফোন করে বলে আমরা হানিমুন করতে কক্সবাজার যাবো তুমি রেডি হয়ে বাহিরে আসো। আমি খুশি মনে টাকা পয়সা নিয়ে ঘর থেকে বের হই। কিন্তু সেদিন টুম্পা ভুক্তভোগীকে প্রথমত বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল, পরে মুরাদপুর, আতুরার ডিপো এনে কক্সবাজার যাওয়ার জন্য থ্রি-পিছ, ব্যাগ, জুতা, কসমেটিক্সসহ বেশ কিছু কেনাকাটা করে নেয়। কেনাকাটা শেষ করেই- বলে উঠে আজ শরীরটা ভালো লাগছে না- পরে অন্য একদিন যাবো। তখন ভুক্তভোগী টুম্পার কথাতে সাই দিয়ে বলে ঠিক আছে। ভুক্তভোগী ১দিন টুম্পার বাবা মার সাথে দেখা করতে চাই বললে- টুম্পা তাকে বলে বাসার অবস্থা তেমন ভালো না- তাকে কিছু টাকা দিলে বাসার জন্য ফার্নিচার কিনবে- ভুক্তভোগী সরল মনে টুম্পাকে ফার্নিচার ক্রয় করার জন্য বিভিন্নধাপে প্রায় ১ লক্ষ টাকা দেয়। এর কিছু দিন পর টুম্পার বাবা অসুস্থ- চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা জরুরী প্রয়োজন বলে তার কাছে কান্নাকাটি করতে থাকে- তখন টুম্পার কান্না সইতে না পেরে নগদ ২লক্ষ টাকা দেয়। পরবর্তীতে চিকিৎসার জন্য আরো টাকা প্রয়োজন তাই টুম্পা একটি সমিতির কথা বলে ভুক্তভোগীকে গ্যারান্টার হিসেবে আতুরার ডিপোর একটি সাইনবোর্ড বিহীন অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর ও ভুক্তভোগীর মিউচুয়্যাল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড এর খালি চেক বইয়ের পাতায় স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। যার চেক নং: এসবিসি ০০৫২৫৬৯ সাথে জাতীয় পরিচয় পত্রের ১টা ফটোকপি। সেই অফিসের এক কোণে তখন আব্দুল মালেক গাজীকে দেখতে পায়। তখন অভিযোগকারির কিছুটা সন্দেহ হলে তিনি বলেন এই স্ট্যাম্প ও চেক কখন ফেরত পাবো- তখন টুম্পা বলে উঠে সময় হলে ফেরত দিয়ে দিবো।

এরই মধ্যে টুম্পার সাথে ভুক্তভোগীর বিয়ে হয়েছে এটি শুধুমাত্র কাগজে কলমে থেকে যায়। তাদের দাম্পত্য জীবনের কিছুই ঘটেনি। বেশ কিছু দিন পর ভুক্তভোগী স্ট্যাম্প ও চেক ফেরত চাইলে টুম্পা বলে কিসের চেক, স্ট্যাম্প। টুম্পার এমন আচরণে ভুক্তভোগীর সন্দেহ হলে ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর চেক ও স্ট্যাম্প ফেরত চেয়ে টুম্পাসহ অন্যান্যদেরকে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন। এতেই ঘটে বিপত্তি, টুম্পা ও তার সহযোগীদের আসল রূপ বেরিয়ে আসে। ভুক্তভোগীকে স্ট্যাম্প ও চেক দিয়ে নিঃস্ব করে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। হঠাৎ করে কিছুদিন পূর্বে আব্দুল মালেক গাজী কাবিননামার ফটোকপি তার কাছে পাঠিয়ে বলে বাসর ঘর করার স্বপ্ন ভুলে যান- কাবিনের ৬০ লক্ষ টাকা রেডি করেন। টুম্পা তোমার সাথে সংসার করবে না। এমন কথা শুনে ভুক্তভোগী ধ্যান জ্ঞান হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে নিরুপায় হয়ে তার বড় ভাই ও ভাতিজাদের কাছে বিষয়টি জানায়। ভুক্তভোগীর ভাতিজা কাবিনের ফটোকপি নিয়ে বিভিন্ন মারফতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে টুম্পাসহ সাথে যারা রয়েছে তারা সবাই একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। টুম্পার আগে আরো ৩টি বিয়ে হয়েছে। এবং টাকার জন্য প্রায় সময় সে বিভিন্ন ব্যক্তিদেরকে টার্গেট করে অভিনয় করে বেড়ায়। ২০০৪/০৫ সালে টুম্পার প্রথম বিয়ে হয়েছিলো জাহাঙ্গীর নামে এক ব্যক্তির সাথে। কিছুদিন যেতে না যেতেই কাবিনের টাকা আদায় করে জাহাঙ্গীর থেকে সরে আসে টুম্পা। ২০০৮ সালে টুম্পার খালাতো ভাই আমির হোসেনকে বিয়ে করে টুম্পা- কিছুদিন পর তাকে তালাক দিয়ে কাবিনের টাকা আদায় করে সরে পড়ে। ২০১৩ সালে মেহেরাব হোসেন নামে এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্রকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে নিজেকে কুমারী পরিচয় দিয়ে ৩০ লক্ষ টাকা কাবিন দেখিয়ে সংসার শুরু করে টুম্পা। এরই মধ্যে মেহেরাব হোসেন থেকে ২৩ লক্ষ টাকা কাবিন আদায় করেছে টুম্পা। মেহেরাব হোসেনের ঘরে টুম্পার ৯ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ভুক্তভোগীর সাথে যে বিয়ের অভিনয় হয়েছে তা সে বুঝতে পারায় এখন প্রতিনিয়ত কাবিনের টাকার জন্য তার নামে আদালতে মিথ্যা মামলাসহ নানা ধরনের ভয়ভীতি দিয়ে যাচ্ছে টুম্পা গংরা।

সম্প্রতি ভুক্তভোগী আরো খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছে টুম্পা তার কথিত খালাতো ভাই আবছারকে নিয়ে মুরাদপুরের একটি ঘরে একসাথে অনৈতিক সম্পর্কের মাধ্যমে বসবাস করছে।

তাহমিনা আক্তার টুম্পা শুধু একজন কাবিন ব্যবসায়ী নারীই নয়, সে একজন টাউটও বটে। বিগত- সালে টুম্পার কথিত সিনিয়র কোর্টের আশ্রয় প্রশ্রয়দাতা এডভোকেট মাসকুর রহমান মাসুকের (লাল বিল্ডিং) জুনিয়র উকিল পরিচয় দিয়ে অনেক সাধারণ লোকের কাছ থেকে মামলা করার নাম করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে। ফাহিমা আক্তার নামে এক ভুক্তভোগী টুম্পা ও তার কথিত সিনিয়র এডভোকেটের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ করিলে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আইনজীবী সমিতির শালিশে এডভোকেট মাসুক ও প্রতারক টুম্পা ভুক্তভোগীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং মামলা করার নামে যে টাকা নিয়েছিলো সে টাকা ফেরৎ দিতে বাধ্য হয়। আইনজীবী সমিতির কাছে টুম্পা আইনজীবী পরিচয় দেয়ায় তাকে “টাউট” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পরবর্তীতে তাহমিনা আক্তার টুম্পা আর কখনো আদালত প্রাঙ্গনে আসবেনা বলে অঙ্গিকার করে।

প্রতারক তাহমিনা আক্তার টুম্পার বিরুদ্ধে বর্তমানে চট্টগ্রাম আদালতে অপর ৪৫৬/২৩ সিআর- ২৪৯৩/২৩ (ধারা- ৪০৬/৪২০/৪৯৫/৩৮৬/৫০৬/৩৪ দঃ বিঃ), সিআর- ১৬৬/২০ ধারা- ১৩৮ ঘও অঈঞ) চলমান রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তাহমিনা আক্তার টুম্পার বিরুদ্ধে একাধিক ভুক্তভোগী মামলা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাহমিনা আক্তার টুম্পার বর্তমান ঠিকানা: ১৫৮৮ হামজার বাগ, কুয়ার পাড়, হামজার বাগ কলোনী, থানা: পাঁচলাইশ, চট্টগ্রাম।

সম্প্রতি জল্লাদ শাহজাহানের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে দেখতে পেয়ে ভুক্তভোগী তার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি জনসম্মুখে এনে দোষীদেরকে যথাযথভাবে আইনের আওতায় আনতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সেই সাথে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, চাই- নারী অধিকারের নামে এমন কাবিন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন বাস্তবায়ন করা হোক। তার মত যেনো অসহায় ব্যক্তি এই ধরনের প্রতারণার শিকার না হোন। ইতিমধ্যে তার কাছ থেকে চেক-স্ট্যাম্প ও প্রতারণার অভিযোগে টুম্পাসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। যার তদন্তে রয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বিএনএনিউজ/ বিএম/হাসনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ