বিএনএ, ঢাকা: সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পাবজি বন্ধের রায় প্রত্যাহার চেয়ে পাবজি কর্তৃপক্ষের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২০ এপ্রিল) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে পাবজির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সামির সাত্তার। রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব।
গত বছরের ২৪ জুন সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ ক্ষতিকর গেম বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এ রায়ের পর বাংলাদেশের আদালতে আইনি লড়াই শুরু করে সিঙ্গাপুরের ফ্রি ফায়ার গেমস প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘গ্যারিনা অনলাইন প্রাইভেট লিমিটেড’। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ ক্ষতিকর গেম বন্ধের রিটে পক্ষভুক্ত হয় প্রতিষ্ঠানটি।
গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ ক্ষতিকর গেম বন্ধের রিটের পক্ষভুক্ত হতে আবেদন করে ‘গ্যারিনা অনলাইন প্রাইভেট লিমিটেড’। পরে ২৬ অক্টোবর হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ এ আবেদন খারিজ করে দেন।
আবেদনে বলা হয়, ফ্রি ফায়ার গেমের অসংখ্য প্লেয়ার বাংলাদেশে রয়েছে। আদালতের আদেশে ফ্রি ফায়ার গেমসের লিংক ব্লক করে দেয়ায় ‘গ্যারিনা অনলাইন’ ব্যবসায়িকভাবে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার, লাইকির মত সব ক্ষতিকর গেমস বন্ধে সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার রিট দায়ের করেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, শিক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব এবং পুলিশের আইজিকে রিটে বিবাদী করা হয়।
এর আগে গত বছরের ১৯ জুন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার গেম তথা লাইকির মত সব প্রকার অনলাইন গেমস এবং অ্যাপস বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশে বলা হয়, টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, এবং ফ্রি ফায়ারের মত গেমসগুলোতে বাংলাদেশের যুব সমাজ এবং শিশু-কিশোররা ব্যাপকভাবে আসক্ত হয়ে পড়েছে। যার ফলে সামাজিক মূল্যবোধ, শিক্ষা, সংস্কৃতি বিনষ্ট হচ্ছে এবং ভবিষ্যৎ, প্রজন্ম হয়ে, পড়ছে মেধাহীন।
বিএনএ/ এ আর