বিএনএ বিশ্ব ডেস্ক: সরকার বিরোধী আন্দোলন দমন ও সহিংসতা পর্যবেক্ষন বিষয়ক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিশেষ কমিটি, অ্যাসিসটেন্টস অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস(এএপিপি),মিয়ানমার মঙ্গলবার(২০এপ্রিল) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ক্ষমতা দখলের দিন ১ ফেব্রুয়ারি হতে ১৯ এপ্রিল রাত পর্যন্ত আড়াইমাসে মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রদেশ ও অঞ্চলে জান্তা সরকারের সেনাবাহিনী ও পুলিশ গুলি চালিয়ে কমপক্ষে ৭৩৮জনকে হত্যা করেছে।
রেডিও ফ্রি এশিয়া(আরএফএ) ও মিয়ানমারনাও ডট অর্গ মঙ্গলবার পৃথক প্রতিবেদনে জানায়, মিয়ানমার মিলিটারি জান্তা একশয়ের বেশি হেলথকেয়ার কর্মীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী কাজে জড়িত থাকার বিষয়ে অভিযোগ গঠন করেছে। তারা সরকারের আহবানে সরকারি হাসপাতালে কাজে যোগ না দিয়ে সিভিল ডিজওবিডেন্স মুভমেন্ট(সিডিএম)এর সাথে কাজ করছে। এসব হেলথকেয়ার কর্মীদের মধ্যে সিনিয়র চিকিৎসক ও নার্সও রয়েছেন।
রেডিও ফ্রি এশিয়া(আরএফএ)জানায়, ডাক্তার,নার্সসহ স্বাস্থ্যখাতের সাথে জড়িত ১০সহস্রাধিক মানুষ নানাভাবে সরকার বিরোধী আন্দোলনে হতাহতদের নানাভাবে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। বেসরকারি হাসপাতাল ও বাসাবাড়িতে তারা গোপনে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেকে অজ্ঞাত স্থান থেকে ফোনে চিকিৎসা পরামর্শ দেন।
মিয়ানমারে প্রায় ৩০হাজার ডাক্তার রয়েছে। তারমধ্যে সরকারি হাসপাতালে চাকরি করেন ২০হাজার জন। সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারদের ৭৫ভাগই সিভিল ডিজওবিডেন্স মুভমেন্ট(সিডিএম)এর সাথে জড়িত। জান্তা সরকার ৩০জনের বেশি সিনিয়র ডাক্তারকে সিডিএমএর সাথে জড়িত থাকার অপরাধে গ্রেফতার করেছে।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, গুলিতে ও নির্যাতনে নিহত আন্দোলনকর্মীদের মিথ্যা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট লিখতে তাদের (ডাক্তারদের) অস্ত্রের মুখে বাধ্য করা হচ্ছে। যেমন: ইয়াঙ্গুনে সেনা সদস্যদের বন্দুকের আঘাতে হত্যার শিকার এক যুবকের মরদেহের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে, পণ্যবাহীবাহী গাড়ি হতে লাফিয়ে পড়ে কোমড় ভাঙ্গাজনিত মৃত্যু হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।গুলিতে একজন মটরসাইকেল চালক নিহত হলে, তার মৃত্যুর কারণ দুর্ঘটনাজনিত বলে উল্লেখ করা হয়।
তাছাড়া ডাক্তারদের প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে বারণ করছে সেনা সদস্যরা। অনেক হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছে।
বিএনএ বাংলানিউজ/এসজিএন