স্পোর্টস ডেস্ক: দুরন্ত ঘূর্ণি। আর সেই ঘূর্ণিতে শেষ হয়ে গেল রাজস্থান রয়্যালস। সোমবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সঞ্জু স্যামসন। চেন্নাই যখন ১৮৮ রান তুলল, মনে হচ্ছিল শক্তিশালী রাজস্থান ব্যাটিং লাইনআপ এই রান তাড়া করে ফেলবে। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যাট করা দলের জয়ের সম্ভাবনা বেশি তা প্রমাণিত মুম্বইতে। কিন্তু রোজ যেমন পালে বাঘ পড়ে না, তেমনই রোজ এক ফর্মুলা খাটবে সেটাও হয় না। রান তাড়া করতে নেমে প্রথম থেকেই ব্যাকফুটে চলে গেল রাজস্থান। মনন ভরা ফিরে গেলেন ১৪ করে। তিন নম্বরে নামা অধিনায়ক সঞ্জু সম্পূর্ণ ব্যর্থ। এক রান করে প্যাভিলিয়নের রাস্তা ধরলেন। জঘন্য শট খেলে উইকেট দিয়ে এলেন।
কিন্তু শিবম দুবে এবং বাটলার মিলে খেলাটা ধরে ফেলেছিলেন। ১২ নম্বর ওভারে খেলাটা হলুদ জার্সিধারীদের পক্ষে এনে দিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। ৪৯ রানে থাকা বাটলারকে ফ্লাইটে বোকা বানিয়ে বোল্ড করলেন। একই ওভারে এলবি করলেন শিবমকে। জ্বলে উঠলেন মঈন আলি। মিলার (২), পরাগ (৩) এবং মরিস (০) ফিরে গেলেন ইংলিশ অলরাউন্ডারের বলে। আগের দিন চাপের মুখে নেমে ছক্কা মেরে দলকে জয় এনে দিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান মরিস। কিন্তু এদিন আত্মহত্যা করলেন খারাপ শট খেলে।
তেওয়াতিয়া এবং জয়দেব কিছুটা চেষ্টা চালালেন। কিন্তু ততক্ষণে ম্যাচের ভাগ্য লেখা হয়ে গিয়েছে। পঞ্জাবের পর এবার রাজস্থানের বিরুদ্ধে জয়। সিংহের ডাক কী আবার শোনা যাবে? উত্তর দেবে সময়। কিন্তু পরপর দুটো জয় চেন্নাই সুপার কিংস দলটাকে নতুন অক্সিজেন দেবে সেটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। ব্যাটে রান না পেলেও মহেন্দ্র সিং ধোনির মাথা যে এখনও হলুদ জার্সিধারীদের সম্পদ সেটা প্রমান হয়ে গেল। টিমগেম খেলেই ম্যাচটা জিতে নিল তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা।
চিন্তা বাড়ল কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের। বুধবার ওয়াংখেড়েতে ইয়ন মর্গ্যান বাহিনীকে খেলতে হবে ধোনির দলের বিপক্ষে। চেন্নাই জিতলে জয়ের হ্যাটট্রিক, কেকেআর হারলে হারের হ্যাটট্রিক। আজ রাতে দুরন্ত চেন্নাইকে দেখে নাইটদের রক্তচাপ যে বেড়ে যাবে তাতে সন্দেহ নেই। জাদেজা অস্ত্রোপচার করিয়ে মাঠে ফিরে এসে আবার নিজেকে প্রমাণ করছেন। দুটো উইকেট এবং ক্যাচ নিয়ে ফের বুঝিয়ে দিলেন নিজের যোগ্যতা।
বিএনএনিউজ২৪/এমএইচ