বিএনএ ডেস্ক: তিস্তা নদীতে ভারতের নতুন করে দুটি খাল খনন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে দিল্লিকে চিঠি দিয়েছে ঢাকা। রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। এ ছাড়া সম্প্রতি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের উদ্দেশ্য বোঝার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তিস্তা নিয়ে চিঠি পাঠানোর বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘চিঠি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে লিখবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমরা নোট ভারবালের (কূটনৈতিক চিঠি) মাধ্যমে তথ্য জানতে চেয়েছি।’
পররাষ্ট্রসচিব জানান, নোট ভারবালে হালনাগাদ তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। তিস্তার পানির প্রবাহ কমে গেছে, বাংলাদেশ এ বিষয়ে যে তথ্যগুলো পেয়েছে, তা ভারতের সঙ্গে বিনিময় করেছে। মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘এটা হয়তো তাদের অনেক দিন আগের পরিকল্পনা। এখন হয়তো জমি অধিগ্রহণ করছে। এখনই যে খাল কেটে ফেলেছে, এমন কিছু নয়। পানির প্রবাহ কমে গেছে এগুলো হওয়ার আগেই।’
ভাটির দেশকে না জানিয়ে ভারতের এ ধরনের প্রকল্প নেয়া নিয়ে প্রশ্ন করলে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘এটি বেশ পুরোনো বিষয়, এ জন্য জানতে চাওয়া হয়েছে। সেখানে এখনো কিছু হয়নি, হওয়ার আগে উদ্বেগ প্রকাশ করার কিছু নেই’ বলেও জানান তিনি।
গত সপ্তাহে এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদপত্র দ্য টেলিগ্রাফ জানায়, দার্জিলিংয়ে তিনটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। তিস্তার উজানে আরও দুটি খাল খনন করবে ভারত। এর মাধ্যমে জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার জেলার কৃষি জমি সেচের আওতায় আনা হবে। ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের জন্য প্রায় ১ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
তিস্তার পানি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে সেচের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূরর্ণ। বিশেষ করে ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত খরা মৌসুমে এই পানির ওপর সেচ কাজ নির্ভর করে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ