বিএনএ ডেস্ক: ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজস্ব পণ্য বিক্রি ও শ্রমনির্ভর অতিক্ষুদ্র বা ভাসমান উদ্যোক্তা এবং প্রান্তিক পেশায় নিয়োজিত সেবা প্রদানকারীদের ব্যাংক হিসাবকে ‘বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত হিসাব’ হিসেবে বিবেচনা করতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে এসব হিসাব রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো ধরনের ফি বা চার্জ না নিতে বলা হয়েছে।
রোববার (২০ মার্চ) এক সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের এই নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সার্কুলারে বলা হয়েছে, ‘ব্যক্তিক রিটেইল হিসাব’ নামে পরিচালিত এ হিসাবে এখন থেকে ন্যূনতম জমা রাখতে হবে না। পাশাপাশি এ হিসাব রক্ষণাবেক্ষণে কোনো ধরনের ফি আদায় করতে পারবে না ব্যাংক।
শ্রমনির্ভর অতিক্ষুদ্র ও ভাসমান উদ্যোক্তা, বিভিন্ন প্রান্তিক পেশায় নিয়োজিত সেবা প্রদানকারী ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজস্ব তৈরি বা ব্যক্তিগত উদ্যোগে পরিচালিত পণ্য বিক্রেতা ও সেবা প্রদানকারীদের ব্যাংকিংসেবার মাধ্যমে ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেমে আনতে ব্যক্তিক রিটেইল হিসাবের বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত হিসাব বলে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে সার্কুলারে।
‘এসব হিসাবের ন্যূনতম জমার বাধ্যবাধকতা এখন থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত থাকবে। অর্থাৎ ন্যূনতম কোনো অর্থ এই হিসাবে রাখতে হবে না। এ হিসাবে ১ হাজার টাকা থাকলে গ্রাহক চাইলে পুরো টাকা তুলতে পারবেন।’
অন্যান্য হিসাবে ন্যূনতম একটা নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা জমা রাখতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘অতিক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, যেমন- মুদি দোকানি, ভাসমান খাদ্যপণ্য বিক্রেতা, বাস-সিএনজি-রিকশাচালক, ফুচকা-চটপটি বিক্রেতা, ফেসবুকে বিভিন্ন পণ্য ও সেবা বিক্রেতা বা বিভিন্ন প্রান্তিক পেশায় নিয়োজিত সেবা প্রদানকারী ব্যক্তিরা এই হিসাব খুলতে পারবেন। হিসাবটি খোলার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের এক কপি অনুলিপি ও পেশার প্রমাণপত্র দিলেই হবে। পেশার প্রমাণপত্রের জন্য ট্রেড লাইসেন্স বাধ্যতামূলক নয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সমিতির দেয়া বৈধ কাগজ হলেই হবে। বিনা খরচে এই হিসাব খুলে দেবে দেশের সব ব্যাংক, এমএফএস ও পিএসপি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান।’
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ