বিএনএ, স্পোর্টস ডেস্ক : খুলনা টাইগার্সকে ৬৫ রানে হারিয়ে বিপিএলের প্লে-অফ নিশ্চিত করে ফেলেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে উভয় দল মুখোমুখি হয়।
টানা ৪ জয়ে আসর শুরু করা খুলনার জন্য কঠিন হলো প্লে অফে উঠার সমীকরণ। খুলনা তাদের শেষ ম্যাচ জিতলে এবং বরিশাল তাদের শেষ ম্যাচ হারলে, রান রেটে বরিশালের চেয়ে এগিয়ে থাকলে তবেই প্লে-অফে যাওয়ার টিকিট পাবে। এর আগে প্লে অফ নিশ্চিত করেছে রংপুর রাইডার্স এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
চট্টগ্রামের বিরুদ্ধে জিততে খুলনার দরকার ছিল ১৯৩ রান করা। পাহাড়সম এ রান তাড়া করতে প্রথম থেকেই ভালো করার বিকল্প ছিল না। তবে দুই ওপেনার ব্যর্থ হন দায়িত্ব পালনে। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই উইকেট হারায় তারা। বিলাল খানের স্লোয়ার ডেলিভারিতে মিড অফে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ৬ রান করা পারভেজ হোসেন ইমন। এরপর অবশ্য খুলনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন এনামুল হক বিজয় এবং শাই হোপ। এ জুটি ভাঙেন শহিদুল ইসলাম। ডানহাতি এই পেসারের লেগ স্টাম্পের ওপর করা ডেলিভারিতে ফ্লিক করেছিলেন বিজয়। শর্ট ফাইন লেগ থেকে অনেকটা দৌড়ে গিয়ে একেবারে সীমানার কাছে ক্যাচ নেন রোমারিও শেফার্ড।
ক্যারিবিয়ান এই ক্রিকেটারের দুর্দান্ত ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন ২৪ বলে ৩৫ রান করা বিজয়। চারে নেমে নিজেদের ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়েছেন এভিন লুইস। পরে দ্রুত সাজঘরে ফেরত যান শাই হোপও। আগের বলে ছক্কা মারলেও পরের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে শুভাগত হোমকে ক্যাচ দিয়েছেন। খুলনার এই উইকেটকিপার ব্যাটার ফিরেছেন ৩১ রানের ইনিংস খেলে। মাহমুদুল হাসান জয় ৭ রানের বেশি করতে পারেননি। বাকিরা সবাই ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। শেষদিকে জেসন হোল্ডারের ১৮ রান কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। চট্টগ্রামের পক্ষে শুভাগত তিনটি উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে টসজয়ী চট্টগ্রাম শুরুতে উইকেট হারালেও সৈকত আলীকে সঙ্গে নিয়ে ধাক্কা সামাল দেন তানজিদ হাসান তামিম। ওপেনিংয়ে নেমে মোহাম্মদ ওয়াসিম ৭ বল খরচ করে রান করেন মাত্র ১। এরপর সৈকত আলীকে একপ্রান্তে রেখে একাই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছিলেন তামিম। ১৭ বলে ১৮ রান করে সৈকত বিদায় নিলেও বোলারদের নিস্তার দেননি তামিম। তুলে নেন টি-২০ ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি।
টম ব্রুস ৪ নম্বরে নেমে তামিমকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন। ৬৫ বলে ১৭৮.৪৬ স্ট্রাইক রেটে ১১৬ রান করে বিদায় নেন তামিম, হাঁকান ৮টি করে চার ও ছক্কা। তার বিদায়ের পর ব্রুস হাল ধরে রাখেন শক্ত হাতে। শেষপর্যন্ত ২৩ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেই মাঠ ছাড়েন। রোমারিও শেফার্ডের ৫ বলে ১০ ও শুভাগত হোমের ৩ বলে ৭ রানের কার্যকরী দুই ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রান দাঁড়ায় চট্টগ্রামের সংগ্রহ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স : ২০ ওভারে ১৯২/৪ (ওয়াসিম ১, তানজিদ ১১৬, সৈকত ১৮, ব্রুস ৩৬*, শেফার্ড ১০, শুভাগত ৭*; পার্নেল ৪-০-২৭-১, নাসুম ৩-০-৩৩-১, হোল্ডার ৪-০-২৯-১, মুকিদুল ৪-০-৪৫-১, জয় ১-০-১১-০, আরিফ ৪-০-৪৬-০)।
খুলনা টাইগার্স : ১৯.৫ ওভারে ১২৭ (এনামুল ৩৫, পারভেজ ৬, হোপ ৩১, লুইস ৬, আফিফ ৬, জয় ৭, হোল্ডার ১৮, পার্নেল ২, নাসুম ৩, মুকিদুল ৩, আরিফ ৬*; বিলাল ৪-০-১৩-২, শুভাগত ৪-০-২৫-৩, সাকিল ১.৫-০-১৫-১, শহিদুল ২-০-১৮-১, শেফার্ড ৪-০-২৫-১, নিহাদ ৪-০-২৯-১)।
ফল: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৬৫ রানে জয়ী।
ম্যান অব দা ম্যাচ : তানজিদ হাসান।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।