বিএনএ, চট্টগ্রাম : ক্যাব নেতারা বলেন, ভাড়া বৃদ্ধির পরও গণপরিবহনে ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য থামছেই না। বিভিন্ন গণপরিবহণে চলাচল করা যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই। পদে পদে হয়রানি ও ঠকতে হচ্ছে নগরবাসীকে। দিন দিন নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়া। বিআরটিএ কিলোমিটার অনুপাতে ভাড়া নির্ধারণ করে দিলেও ভাড়া আদায়ে চলছে নৈরাজ্য। রাজধানীসহ বিভিন্ন মহানগরীতে যারা নিয়মিত সিএনজি অটোরিকশায় চড়েন তাদের অভিযোগের যেন শেষ নেই।
সোমবার(২০ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানা জানান ক্যাব নেতারা ।বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, সহ-সভাপতি সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান প্রমুখ।
গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধে ভোক্তা অধিদপ্তরের কার্যক্রম সম্প্রসারণের আহ্বান জানান কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও নগর কমিটি। সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত সমন্বিত সভার মতো চট্টগ্রাম নগরীতেও এ ধরনের উদ্যোগ নেয়ার দাবী জানান তারা।
ক্যাব নেতারা বিবৃতিতে আরও বলেন, চট্টগ্রামে বৈধ সিএনজি চালিত অটোরিকশার পাশাপাশি অবৈধ সিএনজির সংখ্যাও কম নয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত মিটারে চলাচলের বিষয়টি কোনভাবেই দেখছে না। ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত ‘পাঠাও’, ‘সহজ.কম’, ‘চলো’, ‘বাহন’, ‘আমার বাইক’, ‘শেয়ার মোটরসাইকেল’, ‘বিডি বাইক’ ও ‘ইজিয়ার’সহ ১৬টির বেশি প্রতিষ্ঠান অ্যাপসভিত্তিক বাইক রাইড শেয়ারিং পরিচালনা করছেন। যাত্রীরা সিএনজি অটোরিকশা নৈরাজ্য থেকে পরিত্রাণের আশায় রাইড শেয়ারিংএ ঝুঁকলেও অতি লোভে এখন রাইড শেয়ারিংয়ের চালকরা সিএনজি অটোরিকশার মতো ভাড়া নৈরাজ্য করছেন। বেশিরভাগ সময় অ্যাপে না গিয়ে চালকরা চুক্তিতে যান। এতে যাত্রীদের পকেট কাটা যাচ্ছে।
বিএনএ/ ওজি