বিএনএ ডেস্ক: সার্কের ২৬ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মহাসচিব কে হবেন তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। যার মূল কারণ আফগানিস্তানে তালেবান সরকার। তবে সৃষ্ট জটিলতার সমাধানে শেষ পর্যন্ত সার্কের বাকি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সম্মতিতে আফগানিস্তানের পরিবর্তে বাংলাদেশ থেকে সংস্থাটির মহাসচিব নিয়োগের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। কাকে নিয়োগ দেয়া হবে সে বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সার্ক সনদ অনুযায়ী, সদস্য দেশের নামের ইংরেজি আদ্যক্ষরের ক্রমানুসারে সার্কের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন সংশ্লিষ্ট দেশের সাবেক ও বর্তমান কূটনীতিকরা। বর্তমানে সার্ক মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন শ্রীলঙ্কার সাবেক পররাষ্ট্রসচিব কূটনীতিক ইসালা রুয়ান ভিরাকুন। শ্রীলঙ্কার পরে এবার আফগানিস্তানের কোনো কূটনীতিকের এই দায়িত্ব পালনের কথা ছিল।
তবে আফগানিস্তানে বর্তমানে ক্ষমতায় থাকা তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি কোনো দেশ। এ কারণে ২০২১ সালের পর থেকে আফগানিস্তানকে সার্কের কোনো সভায় ডাকা হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে ইসালা রুয়ান ভিরাকুনের মেয়াদ শেষে কে পরবর্তী মহাসচিব হচ্ছেন, তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়।
তবে বাংলাদেশের মনোনীত কূটনীতিক যোগ দেয়ার আগে পর্যন্ত ইসালা রুয়ান ভিরাকুনকে স্বপদে বহাল রাখার অনুরোধ জানিয়েছে সার্কের বর্তমান সভাপতি নেপাল।
দেশটির পররাষ্ট্রসচিব ভরত রাজ পাদুয়াল আফগানিস্তান ছাড়া সংস্থার বাকি সাত দেশের পররাষ্ট্রসচিবদের সঙ্গে টেলিফোনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। পরে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয় বাংলাদেশের কেউ সার্কের পরবর্তী মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এখন বাংলাদেশ তিন বছরের জন্য মহাসচিব পদে একজনকে মনোনীত করবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে একজনকে নিয়োগ দিয়ে সার্ক সচিবালয়কে অবহিত করা হবে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, অন্যান্য সদস্য দেশের মতামত এখানে আর জরুরি নয়, বাংলাদেশ যাকে নিয়োগ দেবে, তিনিই সার্কের পরবর্তী মহাসচিব হবেন।
১৯৮৫ সালের ডিসেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করা সার্কে এর আগে দুজন বাংলাদেশি কূটনীতিক সার্ক মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। তারা হলেন, সার্কের সাবেক পররাষ্ট্রসচিব আবুল আহসান (১৯৮৭-১৯৮৯ সাল) আর সাবেক বাংলাদেশি কূটনীতিক কিউ এ এম কে রহিম (২০০২-২০০৫ সাল)।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ