বিএনএ: গুজরাট দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্রকে ‘অপপ্রচার’ অ্যাখ্যা দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। হাজারের বেশি মানুষের নিহত হওয়া ওই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন মোদি।
হিন্দু তীর্থযাত্রীবাহী একটি ট্রেনে আগুন লেগে ৫৯ জনের মৃত্যুর পর তখনকার সহিংসতায় নিহতদের বেশিরভাগই ছিল মুসলিম। এ ঘটনা নিয়ে যুক্তরাজ্যের তদন্ত প্রতিবেদন বিবিসির এই তথ্যচিত্রে দেখানো হয়েছে, যেখানে গুজরাটের দাঙ্গার দায়ভার সরাসরি মোদির ওপর চাপানো হয়েছে।
তথ্যচিত্রে দেখানোর আগ পর্যন্ত যুক্তরাজ্য সরকারের ওই তদন্ত প্রতিবেদন কখনোই জনসমক্ষে আসেনি। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) প্রকাশিত ওই তথ্যচিত্র বলছে, মুসলিমদের টার্গেট করে ঘটা ওই সহিংসতা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে মোদি মানা করেছিলেন।
একাধিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে তদন্ত সংস্থা বলছে, দাঙ্গায় হস্তক্ষেপ না করতে মোদি কর্তৃপক্ষকে সুস্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০১২ সালে ভারতের শীর্ষ আদালতের এ সংক্রান্ত এক তদন্তেও মোদিকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল। এ অব্যাহতি নিয়ে করা আরেকটি আবেদনও গত বছর আদালত খারিজ করে দিয়েছে।
বিবিসির এ তথ্যচিত্রকে ‘এক টুকরা অপপ্রচার’ যা ‘বিতর্কিত ভাষ্যকে’ উসকে দিতে করা হয়েছে বলে দাবি করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। তিনি তথ্যচিত্রটিকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ অভিহিত করে বলেছেন, ‘ঔপনিবেশিক মানসিকতার ধারাবাহিকতায়’ এতে যে বস্তুনিষ্ঠতারও অভাব রয়েছে তা ‘খোলাখুলিই দেখা যাচ্ছে’। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এর পেছনের এজেন্ডায় আশ্চর্য ভারত, এই ধরনের চেষ্টাকে সাধুবাদ জানাতে পারি না।
এ বিষয়ে বিবিসি বলেছে, তাদের `ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোশ্চেন’ তথ্যচিত্রটি ‘ব্যাপক গবেষণা করেই’ বানানো হয়েছে এবং এতে মোদীর বিজেপির লোকজনসহ ‘বিস্তৃত পরিসরে’ মানুষজনের কথা ও মতামত নেয়া হয়েছে।
“আমরা ভারতের সরকারকে এই তথ্যচিত্রে উত্থাপিত প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়ার সুযোগ দিয়েছিলাম, কিন্তু তারা সেই সুযোগ নিতে অস্বীকৃতি জানায় বলে জানান বিবিসির এক মুখপাত্র।
বিএনএনিউজ/এ আর