বিএনএ: বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে জুমার নামাজে যোগ দেন দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লি। আল্লাহু আকবর ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে টঙ্গীর তুরাগ তীর। সবার সুখ ও শান্তি কামনায় দোয়া করা ছাড়াও ইসলামের আদর্শ দুনিয়াব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার প্রত্যাশা মুসল্লিদের।
দেশের বৃহৎ জুমার নামাজে হাজারো মুসল্লি সমবেত হন মহান আল্লাহর দরবারে। সিজদাবনত এক প্রভুর ক্ষমা প্রার্থনায়। তাইতো ময়দানে মিলেছে কামারপাড়া, বেড়িবাঁধ, টঙ্গী ব্রিজসহ গাজীপুরের একাংশ।
মাওলানা সাদ কান্ধলভীর ছেলে মাওলানা ইউসুফের ইমামতিতে জামাতে অংশ নেন দেশ-বিদেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। এত বড় জুম্মায় অংশ নিতে পেরে তারা কৃতজ্ঞ প্রকাশ করেন আল্লাহর কাছে।
শুক্রবার বাদ ফজর পাকিস্তানের মাওলানা ওসমানের আমবয়ানের মধ্যদিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তা বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা জিয়া বিন কাসিম। জুমার পর সংক্ষিপ্ত বয়ান করেন কাকরাইলের শুরা সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, আসরের পর বয়ান করবেন মাওলানা সাদের মেঝ ছেলে মাওলানা সাঈদ বিন সাদ কান্দলভী, মাগরিবের পর বয়ান করবেন মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্দলভী।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুরো ইজতেমা ময়দানকে কয়েকটি সেক্টরে ভাগ করে নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ১০ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন বলেও জানান তিনি।
রোববার (২২ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে ২০২৩ সালের বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ মুসলিম জমায়েত।
বিএনএনিউজ/এ আর