27 C
আবহাওয়া
৯:০৩ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ধামরাইয়ে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ: ধর্ষক গ্রেফতার

ধামরাইয়ে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ: ধর্ষক গ্রেফতার

নারীদের সঙ্গে প্রতারণা, স্ত্রীর অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার

বিএনএ, সাভার:  ঢাকার ধামরাইয়ে নবম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ১৭দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয় এক ইউপি মেম্বারের ভাতিজাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।বুধবার (২০ জানুয়ারি ২০২১) উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের কাটাবই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ওই স্কুলছাত্রী কাটাবই গ্রামের বাসিন্দা ও হাটিপাড়া আলহাজ্ব জামাল উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী।

মামলা সূত্রে জানা যায়,গত ২ জানুয়ারি দিনগত রাত ৯টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে বের হয় ওই ছাত্রী। এসময় ঘরের বাইরে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ভাড়ারিয়া ইউপি মেম্বার মোঃ সোলাইমান হোসেনের ভাতিজা ও কাটাবই গ্রামের মোঃ মানসুর রহমানের বখাটে ছেলে মোঃ আব্দুল আলী সদলবলে ওই স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে। এরপর ওই অপহরণকারি স্কুলছাত্রীকে একটি গোপন আস্তানায় আটকে রেখে ১৭দিন ধরে ধর্ষণ করে। বিষয়টি এলাকায় কানাঘুষা হতে থাকলে এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহআলমের চাপে অপহরণকারি আব্দুল আলী ধর্ষিতা ওই স্কুলছাত্রীকে মঙ্গলবার দিনগত রাতে কাটাবই গ্রামের রাস্তার পাশে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে রেখে যায়।

এরপর পথচারিরা দেখতে পেয়ে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আদালতে এব্যাপারে ওই ধর্ষকের বিরুদ্ধে পিটিশন করা হয়। আদালত থেকে এব্যাপারে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেয়া হলে ধামরাই থানায় নারি ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের হয়। গোপন খবরের ভিত্তিতে বুধবার সকাল ৯টার দিকে ধামরাই থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) নুর মোহাম্মদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে ওই ধর্ষক আব্দুল আলীকে তার গোপন আস্তানা থেকে গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঢাকাস্থ ধামরাই জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে প্রেরণ করেন।

ধর্ষিতার পিতা মোঃ নুরনবী বলেন, ঘটনার রাতে আমার মেয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে বের হলে সোলাইমান মেম্বারের ভাতিজা আমার মেয়েকে অপহরণ করে গোপন আস্তানায় আটকে রেখে তার সর্বনাশ করে। আবার রাতের আঁধারেই মঙ্গলবার রাতে আমার মেয়েকে গ্রামের রাস্তায় ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা। আমার মেয়েকে উদ্ধারের পর তার দেয়া জবানবন্দি মোতাবেক আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা দায়ের হয়। এরপর বুধবার সকালে পুলিশ ওই অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে।

উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) নুর মোহাম্মদ বলেন, আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা দায়ের হলে আমাকে উক্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয়। গোপন খবরের ভিত্তিতে বুধবার সকালে অপহরণকারি ওই ধর্ষককে গ্রেফতার করি। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হলে বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন।

বিএনএ/ইমরান খান,ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ