বিএনএ, বিশ্ব ডেস্ক: নজিরবিহীন নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন শপথ নিচ্ছেন আজ। ক্যাপিটল হিলে বাইডেন ও কমলা হ্যারিসের শপথ অনুষ্ঠান ঘিরে মোতায়েন করা হয়েছে কয়েক হাজার নিরাপত্তা কর্মী। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এত কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আগে কখনো কোনো প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়নি।
এদিকে শপথ নেওয়ার পরপরই প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিক ভাষণ দেবেন বাইডেন। বাইডেনের দীর্ঘদিনের উপদেষ্টা মাইক ডোনিলন এ বক্তব্য লেখার প্রক্রিয়া তদারকি করছেন। বিভক্ত হয়ে পড়া এক জাতিকে আবারও ঐক্যবদ্ধ করার প্রচেষ্টার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবেই এই ভাষণ দেবেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, রাজধানী ওয়াশিংটনের বেশিরভাগ রাস্তা এবং মেট্রো স্টেশনগুলোর পাশাপাশি কর্র্তৃপক্ষ জাতীয় উদ্যান হিসেবে পরিচিত ন্যাশনাল মলও বন্ধ করে দিয়েছে। ভার্জিনিয়া রাজ্য থেকে শহরে প্রবেশের সেতুগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। তীব্র নিরাপত্তা উদ্বেগ সত্ত্বেও বাইডেন অনুষ্ঠানটি ঐতিহ্যবাহী স্থানেই করার পরিকল্পনা করছেন।
বুধবার একটি ‘নতুন প্রশাসন’ আসবে ট্রাম্প তা মেনে নেওয়া সত্ত্বেও নিজের পরাজয় মেনে নিতে বা বাইডেনকে অভিনন্দন জানাতে অস্বীকার করেছেন। ট্রাম্প শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের ১৬০ বছরের মার্কিন ঐতিহ্য উপেক্ষা করে ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন না। তবে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলে ভাষণ দেওয়াটা জো বাইডেনের জন্য নতুন কিছু না হলেও অন্য যেকোনো ভাষণের চেয়ে তার বুধবারের ভাষণটির অনেক বেশি গাম্ভীর্য থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। তার উপদেষ্টারা সিএনএন-কে বলেন, ২০ জানুয়ারিতে বাইডেন কী বক্তব্য দিতে পারেন তা গোপন রাখা হচ্ছে।
বিএনএ/এমএইচ