25 C
আবহাওয়া
১:৪০ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » আজ মীর মোশাররফ হোসেনের ১১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী

আজ মীর মোশাররফ হোসেনের ১১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী

আজ মীর মোশাররফ হোসেনের ১১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী

বিএনএ, রাজবাড়ি : বাংলা সাহিত্যের অমর দিকপাল ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও গদ্যশিল্পী ‘বিষাদ-সিন্ধু’র’ রচয়িতা সাহিত্য সম্রাট মীর মোশাররফ হোসেনের ১১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) মীর মোশাররফ হোসেনের সমাধীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন , দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আযোজন করা হয়েছে।

বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী মুস্তাফিজুর রহমান জানান, কালজয়ী ঔপন্যাসিক, সাহিত্য সম্রাট মীর মোশাররফ হোসেনের আজ ১১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। মহান এই মনীষীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বেলা ১১ টার সময়  পদমদীতে শায়িত মীর মোশাররফ হোসেনের সমাধীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন তারা। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।

১৮৪৭ সালে ১৩ নভেম্বর নানা বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার লাহিনী পাড়া গ্রামে সৈয়দ মীর মুয়াজ্জেম হোসেন ও মা দৌলতন নেছার ঘরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করলেও তিনি রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার পদমদী গ্রামের নবাব বাড়িতে তার বাকি জীবন কাটিয়েছেন। ১৯১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর মহান এই মনীষী মৃত্যুবরণ করলে তাকে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদী গ্রামে সমাহিত করা হয়।

প্রসঙ্গত, বাংলা মুসলিম সমাজের দীর্ঘ অর্ধ শতাব্দীর জড়তা দূর করে আধুনিক ধারায় এবং রীতিতে সাহিত্য চর্চার সূত্রপাত ঘটে মীর মোশাররফ হোসেনের শিল্পকর্মের মধ্য দিয়ে। একবিংশ শতাব্দীর আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম নক্ষত্র মীর মোশাররফ হোসেন বাংলা গদ্য সাহিত্যের সূচনা পর্বে সাহিত্য সাধনা করলেও ৩৬টি গ্রন্থ রচনা করে সাফল্যের স্বাক্ষ্য রেখে গেছেন বাংলা সাহিত্যের সব পাতায়। তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে বিষাদ সিন্ধু (১৮৮৫-৯১), গাজী মিয়ার বস্তানী, আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস উদাসীন পথিকের মনের কথা (১৮৯০), রত্নাবলী (১৮৬৯, যা বাঙ্গালী মুসলমান রচিত প্রথম এবং মীর মোশাররফ হোসেন এর প্রথম উপন্যাস), মুসলমান চরিত্র অবলম্বনে রচিত প্রথম নাটক জমিদার দর্পন (১৮৭৩), অবহেলিত নারী হৃদয়ের সামন্ত সমাজের অভ্যন্তরে প্রথম দ্রোহ নাটক বসন্ত কুমারী (১৮৭৩), সম সাময়িক ইতিহাস গৌরী সেতু (কাব্য)।

বৃটিশ শাসিত তদানীন্তন ভারত বর্ষের মুসলিম পুনর্জাগরনের কথা মাথায় রেখে, মুসলমানদের অতীত গৌরবময় ঐহিত্যকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে জাতিকে অনুপ্রাণিত করার জন্যই সেদিন রচনা করেছিলেন ধর্ম ও ইসলাম ভিত্তিক উপন্যাস ইসলামের জয়, মদীনার গৌরব, হয়রত ওমরের ধর্ম জীবন লাভ প্রভৃতি।

বিএনএনিউজ / আরএস/শাম্মী

Loading


শিরোনাম বিএনএ