28 C
আবহাওয়া
৪:২১ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » করোনা সংক্রমণ কমছে, ডেঙ্গু বাড়ছে

করোনা সংক্রমণ কমছে, ডেঙ্গু বাড়ছে

ডেঙ্গু

বিএনএ ডেস্ক: গত দুই বছর করোনা মহামারি তাণ্ডব চালিয়ে প্রায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এবার দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপের সময় দীর্ঘায়িত হচ্ছে। কিছুদিন আগেও আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসকে ডেঙ্গুর সংক্রমণের চূড়ান্ত সময় ধরা হতো। কিন্তু এখন এই প্রকোপ ব্যাপকভাবে ছড়ানো শুরু হচ্ছে জুন-জুলাই থেকেই। অক্টোবর ছাড়িয়ে যাচ্ছে, তবু সংক্রমণ কমার লক্ষণ নেই। বরং এ বছর অক্টোবরের মাঝামাঝিতেই আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এর আগে দেশে ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর সবচেয়ে বড় প্রকোপ দেখা দেয়। তখনো অক্টোবর মাসে এত মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়নি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯০০ রোগী। চলতি বছর এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যা। এ নিয়ে চলতি অক্টোবরের ১৮ দিনেই ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়াল। এর আগে গত সেপ্টেম্বরের পুরো মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ৯ হাজার ৯১১ জন।

ডেঙ্গুর মৌসুম দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা জলবায়ু পরিবর্তন, থেমে থেমে বৃষ্টি, নগরায়ন, সাধারণ মানুষের অসেচতনতা এবং মশক নিধনে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগের ঘাটতিকে দায়ী করেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশে তিনজন মারা গেছেন। তাদের নিয়ে এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৯৯ জন হয়েছে। এই ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৯০০ রোগী নিয়ে এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৬ হাজার ৯৩৮ জন। এর মধ্যে ১০ হাজার ৮৪৬ জনই ভর্তি হয়েছেন চলতি অক্টোবরের প্রথম ১৮ দিনে। এই সময়ে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৪৪ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব বলছে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত বছরের অক্টোবরে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৫ হাজার ৪৬৭ জন, মারা গিয়েছিলেন ২২ জন। ২০২০ সালের অক্টোবরে হাসপাতালে ভর্তি হন ১৬২ জন, মারা যান তিনজন। আর ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে হাসপাতালে ভর্তি হন ৮ হাজার ১৪৩ জন, মারা যান ১১ জন।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন জানিয়েছেন, চলতি বছর ডেঙ্গুর ব্যাপক প্রাদুর্ভাব ও মৃত্যু বেশি হওয়ার কারণ এই ভাইরাসের প্রায় সব ধরনের একযোগে সংক্রমণ।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিদিনের যে হিসাব, সেটা কেবল কাগজ-কলমের। প্রকৃত রোগীর সংখ্যা এর চাইতে কয়েকগুণ বেশি।

বিএনএনিউজ২৪/এমএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ