বিএনএ, কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম): চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে খোয়াজনগরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিদ্যালয়ের জমি দখল করে রাতারাতি সীমানা প্রাচীর নির্মাণের এ ঘটনা ঘটে।
যদিও স্কুল কতৃপক্ষ ঘটনার বিষয়ে তাৎক্ষণিক সেনাবাহিনীকে বিষয়টি অবগত করলে তাঁরা এসে সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ও আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় নির্মাণাধীন দেয়াল ভাঙ্গার নির্দেশ দিলেও এখনো পর্যন্ত দেয়াল সরানো হয়নি বলে ভুক্তভোগীর দাবি।
এদিকে দেশের চলমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে এমন কর্মকাণ্ডে এলাকার সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের মনে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে খোয়াজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম আহমদ বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও প্রতিপক্ষ নজরুল ইসলামের মদদে চলমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে স্কুলের জায়গায় দেয়াল তুলে দিয়েছে। বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানোর পরে সেনাবাহিনী এসে সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ওদের দেয়াল সরিয়ে নিতে বললেও তাঁরা এখনো সেটি তুলতেছে না।
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, আসলে দেয়ালটি আমরা দিই নাই। দিয়েছে আমার চাচাতো ভাই হাসানরা। ওই স্কুলটির আমি আগে সভাপতি ছিলাম এখন দাতা সদস্য হতে চাচ্ছি তাই ওরা আমার নামে এসব মিথ্যা অভিযোগ আনছে।
এবিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দ্বিজেন ধর বলেন, নিষেধাজ্ঞা জারি থাকার পরেও দেশের চলমান এমন পরিস্থিতিতে স্কুলের দেয়াল নির্মাণ করেছে। বিষয়টি আমরা সেনাবাহিনীকে অবগত করলে তাঁরা দেয়াল চার ভাগের এক অংশ ভেঙেছে। বাকি অংশটি এখনো সরাচ্ছে না। বাকি অংশও ভেঙে দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষ জানিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুমা জান্নাত বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন কর্মকান্ড উচিত নয়। আশা করি দেয়ালটি ভেঙে স্কুলের পরিবেশ সমুন্নত রাখবে নিশ্চিয়।
বিএনএনিউজ/নাবিদ;এইচমুন্নী