বিএনএ, সিলেট: সিলেট নগরে বন্যা কবলিত কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি দুর্যোগপ্রবণ এলাকা। এরমধ্যে সিলেট অঞ্চল অন্যতম। সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রী গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং প্রতিনিয়ত এর খোঁজ-খবর রাখছেন।
বুধবার (১৯ জুন) নগরের মিরাবাজার কিশোরী মোহন বালক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে ত্রাণ বিতরণ করেন তিনি। নগদ ১০ লাখ টাকা, ১০০ মেট্রিক টন চাল ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ত্রাণ সহায়তা দেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আমাদের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রাখছেন। ঈদের দিন আমকে ফোন করে বন্যার খবর জানান। পানিবন্দিদের ত্রাণ সাহায্যের জন্য তিনি অনুরোধ জানান। দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে ১০ লাখ টাকা, ১০০ মেট্রিক টন চাল ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ করি।
দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেওয়ার পর থেকে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা অব্যাহত আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্যার খবর রাখছেন।
আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবারের পাশাপাশি রান্না করা খাবার বিতরণ করছে সিটি করপোরেশন। পানি না কমা পর্যন্ত আমাদের ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ও সিলেট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ইমরান আহমেদ, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল ইসলাম, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, সিলেট জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান, সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী ও বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, কোরবানির ঈদের আগে থেকেই ভারী বৃষ্টি হচ্ছে সিলেটে। সঙ্গে ভারত থেকে আসছে পাহাড়ি ঢল। জেলা প্রশাসন জানায়, মঙ্গলবার পর্যন্ত সিলেটজুড়ে ৮৬৪টি গ্রাম ও এলাকা প্লাবিত। এসব গ্রাম ও এলাকার ৩ লাখ ৭১ হাজার ৫০৭ জন মানুষ বন্যাকবলিত। এর মধ্যে সিলেট নগরের ৪টি ওয়ার্ডের ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি।
জেলা ও মহানগর মিলিয়ে ৬১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে মহানগরে ৮০টি। বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির শঙ্কায় দুর্গতদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন।
বিএনএ/এমএফ