বিএনএ, সাভার: ঢাকার ধামরাইয়ে মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় প্রকাশ্যে দিবালোকে মো: আনোয়ার হোসেন (৩৬) নামে এক যুবককে মারধর করে টাকা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১৯ জুন) দুপুরের দিকে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের বিষয়টি জানান ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন নিজেই। তিনি ধামরাই উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের বাগবাড়ি জালসা গ্রামের মোঃ আব্দুল হকের ছেলে।
আনোয়ার হোসেন বলেন, কয়েকদিন আগে আমি বাড়ি যাওয়ার পথে দেখতে পাই রায়হান সহ ৪-৫ জন মাদক সেবন করছে। পরে আমি তাদের মাদক সেবন করতে নিষেধ করি। তখন আমাকে দেখে নিবে বলে হুমকি দেয়। ওই ঘটনার দুই দিন পরে আমি মোটরসাইকেল করে বাড়ি যাওয়ার পথে জালসা উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশের রাস্তায় পৌঁছলে মোটরসাইকেল সহ আমাকে গতিরোধ করে নামিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি তাদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। আমাকে মারধর করে রায়হান ৮৬ হাজার টাকা এবং তার সঙ্গীরা স্বর্ণের একটি চেইন ছিনিয়ে নেয়। সেই সাথে আমার ব্যবহৃত একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলে। এঘটনায় ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন ৬ জনকে অভিযুক্ত করে ধামরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন, মো: জেল হকের ছেলে মো: রায়হান (২০), মো: ফরিদের ছেলে মো: মানিক (২১), ময়নাল হকের ছেলে জুলহাস (২২), মো: আনোয়ারের ছেলে ফারুক (২২), ময়নাল হকের ছেলে নূর ইসলাম (২৫)। তারা সবাই ধামরাইয়ের গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের বাগবাড়ি জালসা এলাকার বাসিন্দা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পূর্বে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ার জেরে গত ১৫ জুন দুপুরের দিকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীর পথরোধ করে। এসময় অভিযুক্তরা দা, লাঠি, লোহার রড়সহ দেশিয় অস্ত্রসহ তাকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে অকথ্য গালিগালাজ ও মারধর করে। এতে তার মুখ, হাত ও শরীর জুড়ে নিলাফুলা জখম হয়। এছাড়া তার কাছে থাকা ৮৬ হাজার টাকা, ১টি সোনার চেইন লুট করে নেয়। এবং সাথে থাকা একটি স্যামসাং মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলে। এছাড়া পরবর্তীতে আরো মারধর ও হত্যার হুমকি দেয়। পরে তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে।
ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরাফাত উদ্দিন বলেন, এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিএনএ/ ইমরান খান, ওজি