19.5 C
আবহাওয়া
৬:০৯ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » শেষ ইচ্ছে পূরণে আবদুল গাফফার চৌধুরীর দাফন হবে বাংলাদেশে

শেষ ইচ্ছে পূরণে আবদুল গাফফার চৌধুরীর দাফন হবে বাংলাদেশে

শেষ ইচ্ছে পূরণে আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর দাফন হবে দেশে

বিএনএ ডেস্ক: বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর দাফন হবে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে। তার স্বজনদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশি হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম।

বৃহস্পতিবার স্থানীয় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি। বলেন, আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর স্বজনরা জানিয়েছেন শুক্রবার জুমার নামাজের পর লন্ডনের ব্রিকলেন জামে মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে জানাজার বিষয়েও শেষ ইচ্ছে ছিল তার। সাঈদা মুনা তাসনিম জানান, পরে মরদেহ দেশে ফেরানোর যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। সোমবার তার মরদেহ দেশে পৌছাতে পারে।

আবদুল গাফফার চৌধুরী বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টার দিকে লন্ডনের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন। আবদুল গাফফারের আত্মার মাগফিতার কামনা করেন তারা।

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের মাধ্যমে নিবন্ধিত স্বাধীন বাংলার প্রথম পত্রিকা সাপ্তাহিক জয় বাংলার প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন। ভাষা আন্দোলনের স্মরণীয় গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’র রচয়িতা আবদুল গাফফার চৌধুরী।

আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বরে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া গ্রামে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি যুক্তরাজ্যের লন্ডনের মিডলসেক্সের এজোয়ারের মেথুইন রোডের ৫৬ নম্বর বাড়িতে স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন।

ছাত্রজীবনেই লেখালেখিতে হাতেখড়ি তার। ১৯৪৯ সালে মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন সম্পাদিত মাসিক সওগাত পত্রিকায় তার গল্প প্রকাশিত হয়। ১৯৫২ সালে সাময়িকপত্রে প্রকাশিত হয় প্রথম উপন্যাস ‘চন্দ্রদ্বীপের উপাখ্যান’। আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর সাংবাদিকতায় হাতেখড়িও ছাত্রজীবনে। ঢাকা কলেজের ছাত্র থাকাকালে যোগ দেন দৈনিক ইনসাফ পত্রিকায়। ১৯৫১ সালে যোগ দেন খায়রুল কবীর সম্পাদিত দৈনিক সংবাদের বার্তা বিভাগে। ১৯৫৬ সালে যোগ দেন তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া সম্পাদিত দৈনিক ইত্তেফাকে।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী কলমযোদ্ধার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। জয় বাংলা পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে মডারেটরের ভূমিকাও পালন করেন। স্বাধীনতার পর ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক জনপদের প্রধান সম্পাদক ছিলেন আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী।

তিনি ১৯৭৪ সালের অক্টোবর মাসে লন্ডনে পাড়ি জমান। ১৯৭৬ সালে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী সেখানে ‘বাংলার ডাক’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদনা করেন। ‘সাপ্তাহিক জাগরণ’ পত্রিকায়ও কিছুদিন কাজ করেন। পরে তিনি ‘নতুন দিন’ ও ‘পূর্বদেশ’ পত্রিকা বের করেন। প্রবাসে থাকলেও গাফ্ফার চৌধুরী আমৃত্য বাংলাদেশের প্রধান সংবাদ মাধ্যমে নিয়মিত লিখে গেছেন। এছাড়া ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন নানা সভা-সেমিনারে।

গাফ্ফার চৌধুরী বাংলা একাডেমি পদক, একুশে পদক, শেরেবাংলা পদক, বঙ্গবন্ধু পদক, ইউনেস্কো পুরস্কারসহ অসংখ্য পদক ও সম্মাননা পেয়েছেন।

বিএনএ/ এ আর

Loading


শিরোনাম বিএনএ